রাহেবুল ইসলাম টিটুল | লালমনিরহাট |
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত
মৃত শামসুর হকের স্ত্রী মর্জিনা বেওয়া ঘর মেরামতের জন্য টিন ও অর্থ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নির্দেশে দুই বাণ্ডিল টিন ও ছয় হাজার টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন সহকারী কর্মকর্তা রওশন আহমেদ।।
এর আগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল লালমনিরহাট অনলাইন নিউজে কালবৈশাখীতে ঘর উড়ে গেছে, মর্জিনার রাত কাটছে রাস্তায়।
শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মর্জিনা বেওয়া র টিন ও অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান তার হাতে টিন ও চেক তুলে দেন।
স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম মুন্সীর বাজার গ্রামের মৃত. শামসুল হকের স্ত্রী মর্জিনা বেওয়ার থাকার একমাত্র টিনের ঘরটি ঝড়ে ভেঙে যায়। টাকা না থাকায় পরিবারটি তিনদিন ধরে খোল আকাশের নিচে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটান।
টিন ও অর্থ পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্ত মর্জিনা। তিনি বলেন, এখন ঘরটি মেরামত করতে পারবো।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান বলেন, মন্ত্রী মহোদয় নির্দেশে আমরা মর্জিনা বেওয়ার প্রয়োজনী ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এবং লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান তিনি নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নিতে পারেন।
জানাগেছে গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে যায়। পাঁচ মিনিটের ঝড়ে ৩ থেকে ৪ গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে বেশিরভাগ অসহায় পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। ঝড়ে ইরি-বোরো ধান, ভুট্টা, গাছপালা ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
উপজেলার চর কাশীরাম গ্রামের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর ফরিদ মিয়া (৫৫) কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘হুরকায় (ঝড়ে) ঘর ভাংগি গেছে। এখন কী করি খাই?’
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাছিমা বেগম (৩৫) বলেন, ‘ঝড়ে টিনের চালা ভাংগি গেছে। মানুষের কাছে লাভের ওপর টাকা নিয়া ঘর ঠিক করতাছি। হামরা এই বাঁধের রাস্তায় বাড়ি করি আছি।’
ঝড়ে তুষভান্ডার ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে বেশকিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।।