রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট:
মহামারি করোনা রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে সব ধরনের যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় নাইটকোচ মাইক্রোবাসে
সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ এ ৪০জন গাজীপুরের কালীগঞ্জে, মুন্সিগঞ্জ ও বগুড়া জেলার নন্দীগ্রামে ধান কাটতে শ্রমিক পাঠালো কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ধানকাটার জন্য বিভিন্ন জেলায় গেল ২য় ধাপে ৮৫ জন কৃষিশ্রমিক।
সোমবার দুপুরে দুটি বিশেষ নাইট কোচ ও একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হাসান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৈয়দা সিফাত জাহানের যৌথ প্রত্যয়নে তারা দলনেতাদের মাধ্যমে ১৪ জন গাজীপুরের কালীগঞ্জে, ৪০ জন মুন্সিগঞ্জ ও ৩১ জন বগুড়া জেলার নন্দীগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে সব ধরনের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। লকডাউনে উপজেলার কৃষি শ্রমিকরা বর্তমানে বেকার ও কর্মহীন রয়েছেন।
অপরদিকে দেশের জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান কাটা মৌসুম শুরু হলেও সেখানে শ্রমিক সংকট রয়েছে। প্রতি বছর লালমনিরহাট তথা উত্তরাঞ্চলের কৃষি শ্রমিকরাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ধান কাটার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তবে চলমান লকডাউনে এসব শ্রমিক ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। তাই কৃষি অর্থনীতি সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব কৃষি শ্রমিককে বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার জন্য পাঠানোর উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন।
সোমবার সকালে গাজীপুর ১৪জন নন্দীগ্রাম, বগুড়া ৩১জন সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ এ ৪০জন
কৃষি শ্রমিককে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ৮৫ জনকে পাঠানো হয়। আগামী দিনেও এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
এজন্য বাইরের জেলায় ধান কাটা বা কৃষি কাজের জন্য যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, কৃষি অর্থনীতি সচল রাখতে প্রয়োজন অনুপাতে বাইরের জেলায় ধান কাটা শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী দিনেও এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। এবং গমনেচ্ছুক শ্রমিকদের উদেশ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মকাকনুন সম্পর্কে বক্তব্য দেন।