কালীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
পরকীয়া সম্পর্ক, এটি নতুন কোনো বিষয় নয়! বর্তমান বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও এখন এর প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোন, ফেসবুকসহ নানা প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয়, তাই আজকাল পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলা অনেক সহজ।
বিবাহের মত পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয় বর্তমানে তা অনায়াসে ভেঙ্গে যাচ্ছে পরকীয়া নামক ব্যাধির কারণে। এর প্রাদুর্ভাব সমাজ কে ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের মুখে । তেমনি পরকীয়ার কারণে ভেঙে যাচ্ছে অনেক সাজানো ঘর।
এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শ্রীখাতা (সোনামারী) গ্রামে। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে স্থানীয় এলাকা বাসীর মাঝে।
গত ৫ মার্চ সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার শ্রীখাতা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে নিরীহ স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ৫ বছর পূর্বে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা ৮ নং ওয়ার্ডের পবিত্র কুমার অধিকারী রায়ের ছেলে হৃষীকেশ অধিকারীর সাথে একই উপজেলার ভোটমারী খাদ্য গুদাম সংলগ্ন এলাকার দীনেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে সুখী রাণীর সাথে ধর্মীয় মোতাবেক বিয়ে হয়।
তাদের সংসার জীবনে ১ টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের ৩/৪ বছর তাদের সংসার সুখে কাটলেও পরে পুরুষ লোভী নারী সুখী রানী একই এলাকার মৃত অনন্ত কুমার রায়ের ছেলে এক সন্তানের জনক প্রদীপ কুমার রায়ের পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পরে। এরই ধারাবাহিকতায় নিরিহ স্বামী হৃষিকেশ প্রতিদিনের মত বাহিরে কাজে গেলে ওই সুযোগে পরকিয়া প্রেমিক প্রদীপ কুমার রায় এক সন্তানের জননী ধর্ম ছেলে বউ সুখী রানীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
সুখী রানীর স্বামী হৃষিকেশ কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, “প্রদীপ আমাকে ধর্ম ছেলে বানিয়েছে যাতে আমার বাড়ীতে যাতায়াত করতে তার সুবিধা হয়। সে আমার এ সর্বনাশ করবে তা আমি বুঝতে পারিনি। এখন এই ২১ মাসের বাচ্চাটাকে আমি কেমনে মানুষ করবো বলেই কেদে ফেলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়ারেছ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক -এস আই মহিদুল ইসলাম। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ও তিনি আরো জানান অভিযোগ পেয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত শেয় করে আইনআনুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।।