পাটগ্রাম প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার এক কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অপহৃত মেয়েটির বোন অলিদা আক্তার পাটগ্রাম থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রসুলপুরের পেদাইটারী এলাকায়। অপহরণকারী খালিদ সাইফুল্লাহ উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের রসুলপুর পেদাইটারী এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, খালিদ সাইফুল্লাহ একটি ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি। অপহৃত ঐ কিশোরীর নাম রেহেনা আক্তার পারভীন (১৫)। সে বাউরা আরেফা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি উত্তীর্ণ হন। রেহেনা আক্তার পারভীন রসুলপুরের পেদাইটারী গ্রামের রহিদুল ইসলামের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের জনক খালিদ সাইফুল্লাহ তার প্রতিবেশি রহিদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রেহেনা আক্তারকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উক্ত্যক্ত করে আসছিলেন। অসহায় স্কুল পড়–য়া মেয়েটি তার পরিবারের ভয়-ভীতি দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত খালিদকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। এমতাবস্থায় গত ৭ জুন ২০২০ ইং সাইফুল্লাহ রেহেনা আক্তারকে অপহরণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে রেহেনা আক্তারের পরিবার বিভিন্নভাবে মেয়েটির খোঁজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি অপরহরণ অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অপহৃত মেয়েটির বড় বোন অলিদা বেগম জানান, ‘আমার ছোট বোন এবারে সে এসএসসি পাস করেছে। স্কুলে পড়া অবস্থায় দুই সন্তানের জনক খালিদ সাইফুল্লাহ তাকে বিভিন্নভাবে উক্ত্যক্ত করত। এ ঘটনায় তার পরিবার কে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বোনকে অপহরণ করে। খালিদে পরিবার আমার বোনকে ফিরত দিতে চেও বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা শুরু করেন। অবশেষে আমার বোনকে উদ্ধারের জন্য থানা পুলিশের সরণাপন্ন হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি অপরহণ মামলা করি।’
অপহৃত মেয়েটির মা মর্জিনা বেগম বললেন,‘ খালিদের বউ-বাচ্চা থাকার পরও সে আমার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেছে। সে আমার মেয়েকে বিক্রি করে দিবে আমি আমার মেয়েকে চাই।’
খালিদ সাইফুল্লাহর বাবা নুর ইসলাম ছেলের কৃতকর্মের জন্য দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি চাই আমার ছেলের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
এ বিষয়ে অপহরণকারী খালিদ সাইফুল্লাহর মোবাইল নম্বর-০১৭১৯২৯৪৭৪৬ যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইন চার্জ সুমন কুমার মোহন্ত জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।