রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট থেকে।
উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে পানি ঢুকে হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার প্রায় ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬ টা থেকে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দুপুর ১২ টা থেকে কিছুটা কমে ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
ভারতের গজল ডোবা ব্যারাজের সকল গেট খুলে দেওয়ায় এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে পানি শুণ্য থাকা তিস্তা নদী আবারও ফুলে ফেঁপে উঠেছে এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভাটি এলাকাগুলোতে পানির চাপ বাড়তে শুরু করেছে।
সেইসাথে পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী জেলার চারটি উপজেলার ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দি এলাকগুলো হচ্ছে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও রাজপুর ইউনিয়ন।
তবে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আপাতত তিস্তার কারণে বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। উজানে গজল ডোবায় ভারতে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার কথা জানিয়ে উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আজকালের খবরকে জানায়, হঠাৎ এই পানি বৃদ্ধিতে স্থায়ী বন্যার কোনও আশংকা নেই।
এদিকে শুক্রবার রাত থেকে হাতীবান্ধা দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে পানির চাপ বাড়তে থাকলে এক পর্যায়ে ব্যারাজের সকল গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়। এতে নদীর ভাটি এলাকাগুলোর দিকে পানি ধেয়ে এসে নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোকে প্লাবিত করে।
বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শনিবার বিকেলের মধ্যে তিস্তার পানি প্রবাহও কমে যেতে পারে।