রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার। সরকারের এ সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ নির্দেশনা পালনে প্রথম থেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে একটু বেশী তৎপর ও আন্তরিকতা দেখা গেছে লালমনিরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসানকে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে কালীগঞ্জবাসীর।
তিনি দিনরাত সমানতালে ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। জনগণকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিন্ম আয়ের মানুষের খোঁজ-খবর রাখছেন তিনি। হাটবাজারে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও মানুষের মাঝে মাস্ক ও ত্রান বিতরণ করছেন।
এর সবই তিনি একাই সামলাচ্ছে।তিনি এ উপজেলাবাসীর জন্য আন্তরিকভাবে যে কাজ করে যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। আন্তরিকতা থাকলে একজন ইউএনও একটি উপজেলার জন্য অনেক কিছু করতে পারেন, ইউএনও রবিউল হাসান তারই উদাহরণ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী টহলও জোরদার রয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের নানা পদক্ষেপের সঙ্গেযুক্ত রয়েছেন কালীগঞ্জ থানা পুলিশ, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ মুর্শিদুল হক ও মানুষ মানুষের জন্য(মামাজ) নামের একটি সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
একই সঙ্গে রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যান, ইজিবাইক বা অন্যান্য যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করছিল মামাজের সদস্যবৃন্দ। করোনা ভাইরাস ঝুঁকি রোধে সরকারি নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে জনসাধারন ও ব্যাবসায়ীদের সচেতন করার কাজ করে চলছেন তারা। এই প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাঠে রয়েছেন স্থানীয় কর্মব্যস্ত কয়েকজন সাংবাদিক।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে এ উপজেলার মানুষ। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচল। এতে সব থেকে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন দিনমজুর গরীব,অসহায় মানুষজন। এসকল উপার্জনহীন মানুষের জন্য দেয়া হচ্ছে সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এ উপজেলায় প্রতি মুহূর্তে কাজ করার উৎসাহ পাচ্ছি। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এলাকাবাসী যেন এ বিষয়ে সচেতন হয়ে নিজেই নিরাপদ থাকতে পারেন। তার দিক নির্দেশনা দিচ্ছি। যেহেতু সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করানা ভাইরাস দূরীকরণে কোন প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি হয়নি সেহেতু এটি প্রতিরোধে আমাদেরকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা যদি সবাই যার যার অবস্থান থেকে এ বিষয়ে সতর্ক হই তাহলে করোনা ভাইরাস এর প্রভাব অনেকাংশে কমে যাবে।