রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
ভারী বর্ষন ও পাহারি ঢলে তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ফাট বাইপাসে ছুই ছুই পানি ব্যারেজ রার্থে যে কোনো মুহূর্তে ফাট বাইপাস কেটে দেয়া হতে পারে। এ দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, গড্ডিমারী, বড়খাতা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শনিবার সকালে তিস্তার পানি প্রবাহ দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ৫৩.১১ সেন্টিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধা থেকে তিস্তা ভয়ংকর রুপ ধারন করায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও ফাট বাইপাসের উজানে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড এলার্ট জারী ও মাইকিং করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত হয়েছে গড্ডিমারী ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। তিস্তা নদীর পানির তোড়ে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাটখোলা সড়কের পাশে পানি আসা শুরু করেছে।
এছাড়াও হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় এলাকার সড়কটির বিরাট অংশ ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজনের বাইপাস সড়কের সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ ভাঙনের ফলে এর মধ্যেই ওই এলাকার ৩০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়নটির চারপাশের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় এলাকার লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যার পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করায় জেলার লাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অসংখ্য শিা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তিগ্রস্ত হবে।
তিস্তা পাড়ের লোকজন নিজ নিজ অবস্থান থেকে বালু বস্তা দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও বস্তার সংকটে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
এদিকে, পানির শো শো শব্দে তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিস্তা নদীর ভয়ঙ্কর রূপ আর গর্জনে পানি বন্দি লোকজনের চোখে ঘুম নেই।
অন্যদিকে ৬ দিন ধরে রান্না করতে না পারায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে ভুগছেন তারা। জেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে লোকজন কে নিরাপদে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, হাতীবান্ধার একটি শহরে পানি প্রবেশ করেছে শুনেছি ঘটনা স্থালে রওনা করেছি। এর মধ্যে বন্যাত পরিবার গুলো জন্য ১১ শত মেট্রিটন চাউল ও আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।