পলি আক্তার : প্রবাসে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মানের মিউনিখে নাগরিক সংবর্ধনা একথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,আমরা শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন করেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং মধ্যআয়ের দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন।
নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। বরং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন করেছে। সেনা বাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং সৈনিকদের হত্যা করেছে।
বিএনপির শাসন আমলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে যে দুর্নীতি করেছে, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজা পেয়েছে, এতিমের অর্থ আত্মসাতের সাজা পেয়েছে তাই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অগ্নি সন্ত্রাস, সাজাপ্রাপ্তদের নেতৃত্ব এবং জামায়াতকে ধানের শীষ মার্কা দিয়ে প্রার্থী করাতে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং ভোট দেয়নি।
টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফরে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী তাঁকে জার্মানির মিউনিখ শহরে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছেন। এ সময় প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে জার্মানির মিউনিখ শহরে এসে পৌঁছান। মিউনিখ বিমান বন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে মিউনিখের শেরাটন আরাবেলা হোটেলে যান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরাটন হোটেলের বলরুম মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিতে বুধবার থেকেই ইউরোপের নানা দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিউনিখে এসে পৌঁছান।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদের পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনীল দাশ গুপ্ত, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ।
ইতিপূর্বে ২০১৭ সালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছিলেন। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিরাপত্তা হুমকি ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে দুটি সেশনে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।
শুক্রবার মিউনিখের ব্যাভেরিয়া হোফ হোটেলে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি ভলফগ্যাং ইসিঙ্গার জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি এবারের ৫৫তম সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ৪০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১০০ জন মন্ত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।রোববার সকালে আবুধাবির উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।