পলি আক্তার বিশেষ প্রতিনিধি ইতালীঃ
ইতালির রাজধানী রোমে নবগঠিত বাংলাদেশ লাভান্দেরিয়া ব্যবসায়ী সমিতি একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। স্থানীয় রোসই রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শাহ মোঃ তাইফুর রহমান ছোটন।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হেলাল রায়হানের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লাভান্দেরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহ মোঃ শওকত, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ হিমেল , সিনিয়র সহসভাপতি সোহেল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল বেপারী। বাংলাদেশ লাভান্দেরিয়া ব্যবসায়ী সমিতি র সভাপতি শাহ্ মোঃ শওকত বলেন” শুধু মাত্র বিদেশীদের অধীনে চাকুরী করে নয়, নিজের কর্ম দক্ষতাকে কাজেও লাগিয়ে ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব যা এই লাভান্দেরিয়া সমিতির কর্মী বৃন্দরা করিয়ে দেখিয়েছে।”
বাংলাদেশ লাভান্দেরিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ হিমেল বলেন” এই সংগঠনটি ৭৮ টি বাঙালী মালিকানাধীন লাভান্দেরিয়া ব্যবসায়ীক দ্বারা পরিচালিত। যাদের মূল উদ্দেশ্য বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি ট্রেনিং এর মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা। এরই সঙ্গে স্বল্প খরচে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের ও সৃষ্টি করা। সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা তিনি চেয়েছেন।” সাধারন সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ হিমেল আরো বলেন” ভাল ও জন কল্যাণমূলক কাজ করার জন্য শুধুমাত্র সদিচ্ছার প্রয়োজন। এই সদিচ্ছা ই আমাদের কে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এক সময় এই সমিতির কার্যক্রম হয়ে উঠবে সকলের কাছে গ্রহণীয় ও অনুকরণীয়”।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি লায়লা শাহ, রোমের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব দাউদ মুন্সী, মুজাহিদ খাদেম, লোকমান ভূঁইয়া সহ অনেকে।
প্রধান উপদেষ্টা এই সময় নব গঠিত এই সমিতির কার্যকরী পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তারা হলেন, উপদেষ্টা ফুরকান আহমেদ, মোঃ হাশেম, সহ সভাপতি রুবেল সরকার, মোঃ ফয়সাল, মোঃ রাশেল, মোঃ হামিদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ, মোঃ স্বপন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল, সোহেল মিয়া , কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্বাসউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক, দপ্তর সম্পাদক নাদিম মোহাম্মদ, মহিলা সম্পাদক নূর নাহার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাকের আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক আহমেদ সাগর।
আগামীতে আরো বড়ো পরিসরে বাংলাদেশ লাভান্দেরিয়া ব্যবসায়ী সমিতি তাদের অভিষেক অনুষ্ঠান করবে বলে জানান।
শেষে কেক কাটা হয় এবং স্থানীয় শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দেন।