রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ এর বিচারক দেবাংসু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করেছেন আদালতের বিচারক।
মামলাটি তদন্তের ভার পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন ) দেয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচারক মোস্তফা কামালের আদালতে এ আদেশ দেন।
একই সাথে মামলার বাদীনির জবানবন্দি গ্রহণ করেছে আদালত। যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলার আবেদন করেছিলেন স্ত্রী ডা.হৃদিতা সরকার। মামলার পরবর্তি তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে আগামী ৯ মে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্টপক্ষের আইনজীবী পিপি রফিক হাসনাইন।
মামলার সূত্রে জানাগেছে, ডা.হৃদিতা সরকার রংপুর মেডিকেল থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। হিন্দু আইন অনুয়ায়ী ২০১৫ সালের ১১ মে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সে সময় সন্তানের সুখের কথা ভেবে ৫০ ভরি সোনার অলংকার সহ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী প্রদান করেন অভিভাবকরা।
বিয়ের কিছুদিন না যেতে পুনরায় একটি নতুন গাড়ি কিনে দেবার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এর মধ্যে তার স্বামী রংপুর জজশীপে বদলী হয়ে আসেন।
গত ৮ মার্চ সন্ধায় বাদী ও তার স্বজন এবং সাক্ষীরাসহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট দেবাংসু কুমার সরকারের সাথে দেখা করার জন্য এলে স্ত্রী ডা.হৃদিতা সরকারকে শারীরিক নির্যাতন করা হলে তাকে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে নিয়ে ২১ দিন চিকিৎসাধিন থাকার পর সুস্থ হয়ে ১৭ এপ্রিল রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করতে বলেন। মামলায় স্বামী দেবাংসু কুমার সরকারসহ শ্বশুর শুধাংশ কুমার সরকার, নিলয় দে সরকার ও রঞ্জন সরকারকে আসামী করা হয়।
পিপি রফিক হাসনাইন জানান, রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
সুত্র উত্তর বাংলা ডটকম।