লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার উঃ মুসরত মদাতীর মনিরাবাদ আলিম মাদ্রাসা,জামে মসজিদ, আলহাজ্ব মনির উদ্দিন দরবেশ (রঃ) এর মাজার, ঈদগাহ মাঠ ও বাৎসরিক ইছালে ছাওয়াবের স্থান জমি দখল করে চাষ করে
স্থানীয় এক প্রভাবশালী ও তার লোকজন।
শুক্রবার (২১ আগষ্ট ) উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের মনিরাবাদগ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মনিরাবাদ গ্রামের মনিরাবাদ আলিম মাদ্রাসা,জামে মসজিদ, আলহাজ্ব মনির উদ্দিন দরবেশ (রঃ) এর মাজার, ঈদগাহ মাঠ ও বাৎসরিক ইছালে ছাওয়াবের স্থানের থাকা ২.৫ একর জমি ভোগদখল করে আসছেন।
গত শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে ওই এলাকার প্রতিবেশী আবু মুসা নামের একজন বেশ কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে এলাকার মানুষকে ভয়ভিতি দেখিয়ে তার শ্রমিক নিয়ে মাদ্রাসার মাঠটিকে চাষাবাদের জন্য তৈরির কাজ শুরু করেন।
মাদ্রাসার মাঠটি বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে
ব্যবহারীত হত সেটি আজ চাষবাদের জন্য চাষ করার এরই মধ্যে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘটনার সাথে জড়িত প্রভাবশালী আবু মুসার গ্রেফতারের দাবি জানায় অনেকে।
মাদ্রারাসার সুপার অভিযোগ করে বলেন,
ওরা অনেক প্রভাবদেখায় এবং ওদের বংশে অনেক লোকজন আছে। তাই আমরা এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,
যে অমানবিক কাজটি করেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অমার্জনীয় অপরাধ। তারা ঘটনার সাথে জড়িত আবু মুসা ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার গোলাম আজম মওদুদী বলেন, এ বিষয়ে এলাবাসী আমাকে অবগত করছেন। তা সরেজমিনে গিয়ে দেখে আমি বাদি হয়ে একটি মামলা ও দায়ের করি এবং আমি নিজেও দেখেছি জমিটি চাষ করেছে মৃত চান্দিয়ার ছেলে আবু মুসা। মসজিদ কমিটিকে কিছু না জানিয়ে সে জোর করে জবর দখল করে। এখন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থার মাধ্যমে জানতে চাই তিনি এই মাদ্রাসার মাঠটি কেনো জবর দখল করলো।
আলিম মাদ্রাসার সভাপতি, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ও মদাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া জুয়েল বলেন, এই মুসা হচ্ছে মসজিদ কমিটির সাধারণ সদস্য। মুসা প্রায়ই মসজিদের বিভিন্ন কাজে অকারেন্জ করে থাকেন।
মুসা তার বাবার কবরটিও জোর করে মসজিদের জমিনে দেয়। বর্তমানে কবরটি মসজিদের ভিতরে পড়েছে। মুসা এখন চাচ্ছে এই জমিতে ধর্মীয় কাজগুলো যেনো না হয়। এলাকাবাসীর দাবী ও আমারো দাবী এই মুসার উপযুক্ত শাস্তি চাই।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি, আলহাজ্ব গোলাম মর্তুজা হানিফ বলেন, মাদ্রাসার দাতা সদস্য আমি, মসজিদ,মাদ্রাসার সুন্দর রুপটা আমার চিন্তা চেতনায় করে দিয়েছি।
এই মাঠটি জানাজার নামাজ, ইছালে ছাওয়াব সহ বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে ব্যবহত হয়। এই ধর্মীয় কাজগুলো যেনো না হয় এজন্যই এই জমিটি কেউকে কিছু না বলে জোর পূর্বক চাষ করে।
তিনি আরো বলেন এই মুসা একজন সন্ত্রাসী। এবং এই অসামাজিক কার্যকলাপ করার পিছনে কে মদদ দিচ্ছে তা পত্রিকায় লিখা লিখির মাধ্যমে তুলে ধরুন। এবং একে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু সাজ্জাত বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”