ঢাকাWednesday , 3 June 2020
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুনেও ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবেন না, কিস্তি নিলে লাইসেন্স বাতিল

TITUL ISLAM
June 3, 2020 8:10 am
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবেন না, সরকারের এমন নির্দেশনা আগেই এসেছিল। কিন্তু অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার পর এনজিওগুলোও ঋণ আদায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এমন অবস্থায় জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক জানিয়েছেন, জুন মাসেও কিস্তি আদায় করতে পারবে না এনজিওগুলো।

আর এ বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিরির গঠন করে দেয়া মনিটরিং সেলের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোথাও জোর করে ঋণ আদায় করা হলে এনজিও’র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে তাদের। প্রয়োজনে তারা সেটাই করবেন।

শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী থেকে দু’একটি অভিযোগ পেয়েছেন যে জোর করে ঋণ আদায় করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তা বন্ধ করেছেন। কিন্তু কেউ কথা শুনছেন না, অথবা সতর্ক করার পরও ঋণ আদায় করছেন বিষয়টি এমন হলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে সোমবার (০১ জুন) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক। তিনি লিখেছেন, এনজিও থেকে গৃহীত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো ঋণ গ্রহীতাকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।

তবে জেলা প্রশাসকের ওই স্ট্যাটাসের নিচে রাজশাহীর অনেকেই লিখেছেন যে রোববার থেকে এনজিওগুলো ঋণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এনজিওকর্মীরা কিস্তির টাকার বাড়িতে এসে চাপ দিচ্ছেন। দুর্ব্যবহার করছেন।

জুন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না উল্লেখ করে গত ২২ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। এরপরও এ প্রজ্ঞাপনের ভুল ব্যাখা দিয়ে কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছিল। বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য গত ২৫ মার্চ আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অথরিটি।

এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। অর্থাৎ এই সঙ্কটময় সময়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। একই সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে কাউকে ঋণ দিতে চায় সেটা দিতে পারবে।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।