লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় ঠাঁই নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের মূখে গত সাতবছর যাবত একবেলা খাবার তুলে দিয়ে সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন নদী ভাংগা পরিষদ লালমনিরহাট।
উত্তর জনপদের সীমান্ত জেলা লালমনিরহাট রেল যোগাযোগের ব্যাস্ততম ষ্টেশন হিসেবে পরিচিত।ব্রিটিশ শাসনামলে গড়ে উঠা রেল বিভাগকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে রেলের অফিসপাড়া, সেই সাথে বাংলাদেশের সর্ববৃহত রেলওয়ে ওভার ব্রীজ ও বিশাল এলাকা জুড়ে রেলওয়ে প্লাটফরম। রাত হলেই বিশাল এলাকা জুড়ে চাকচিক্যময় আলো রাশি রাশি শোভাপায় যেমন, ঠিক এই আলোর নীচে চাপা পড়ে থাকে অন্ধকারের গল্প।বিশাল প্লাটফরমের বারান্দা জুড়ে রাতের বেলা অস্থায়ী বসবাসের বিছানা পাতে শত শত ছিন্নমূল,ভিক্ষুক, ঠিকানাহীন মানুষ। ছিন্নমুল এসব মানুষ অনাহারে,অর্ধহারে একটু শান্তিতে ঘুমাতে আসে এখানে,এই মানুষগুলোর দুঃখ দূর্দশা ভাগ করে নিতে সেচ্ছাসেবী সংগঠন নদী ভাংগা পরিষদ গত সাতবছর যাবত প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মুখে অন্য তুলে দেবার ব্যাবস্থা করে আসছে।এক বেলা পেটপুরে খেতে পেড়ে ছিন্নমূল এসব মানুষ দারুন উচ্ছাসিত। বৃহস্পতিবার রাত দশটায় লালমনিরহাট রেল ওয়ে ষ্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ষ্টেশনের বিশাল এলাকাজুড়ে সারিবদ্ধভাবে বসে আছে সাত আটশত ছিন্নমূল মানুষ, যাদের সামনে খাবার বিতরনে ব্যাস্ত নদীভাংগা পরিষদের সাধারন সম্পাদক এম,এ হান্নান সহ অন্যরা।একজন ছিন্নমূল নারীকে জিজ্ঞাসা করলে এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে গত দুবছর যাবত রাত্রি কাটান এই প্লাটফরমে, প্রতি বৃহস্পতিবার নদীভাংগা পরিষদের খাবার খেতে এখানে আসেন নিয়মিত। নদীভাংগা পরিষদের সাধারন সম্পাদক এম এ হান্নানের উদ্দোগে গত সাতবছর যাবত প্রতি বৃহস্পতিবার ছিন্নমূল মানুষের জন্য খাবারের ব্যাবস্থা করে আসছে এই সেচ্ছা সেবী সংগঠন।এম,এ, হান্নান এই প্রতিবেদকের কাছে বলেন প্রথমে আমরা দুই থেকে তিনশত মানুষের খাবারের ব্যাবস্থা করলেও এখন বিভিন্ন মানুষ সেচ্ছায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার কারনে প্রতি বৃহস্পতিবার সাত থেকে আটশত ছিন্নমূল মানুষের খাবার ব্যাবস্থা করতে পারছি।সমাজের বিত্তবান মানুষরা এগিয়ে আসলে আগামীতে প্রতিটি রেল ষ্টেশনে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমুল মানুষের খাবার ব্যাবস্থা করার ইচ্ছা আছে আমাদের। লালমনিরহাট রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় অবস্থিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন নদীভাংগা পরিষদ, বিনামূল্যে ছিন্নমুল মানুষের জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার খাবার বিতরন করায় সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।তাদের এই প্রশংসনীয় উদ্দোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্থরের মানুষ।