ঢাকাWednesday , 3 April 2019
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালীগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই আরও ১টি ইট ভাটা মানা হচ্ছে না নিয়মনীতি

TITUL ISLAM
April 3, 2019 2:55 pm
Link Copied!

কালীগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই আরও ১টি ইট ভাটা মানা হচ্ছে না নিয়মনীতি মালিক পক্ষের ক্ষমতার দাপটে অসহায় কৃষকরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
ইটভাটা তৈরিতে নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন,নেই জেলা প্রশাসনের অনুমোদন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার পরেও থেমে থাকেনি নতুন আরও একটি ইটভাটার কার্যক্রম। কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীখাতা দামুদ্দার এলাকায় নতুন একটি ইটভাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার শ্রীখাতা দামুদ্দারে ফসলি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার সাথে এই নতুন ইটভাটাটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ভাটায় ইটও বিক্রি শুরু করেছেন।

কৃষকরা ভাটাটি নির্মাণে কৃষকরা একাধিকবার আপত্তি জানালেও মালিক পক্ষের ক্ষমতার দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী,ইটভাটার কার্যক্রম শুরুর প্রথমেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের সাথে জেলা প্রশাসন থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়। কিন্তু এ ইটভাটার মুল উদ্যেক্তা রাসেল আহমেদসহ আরো ৪জন এধরনের কোন ছাড়পত্র ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভাটা নির্মানে ইতিমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে মালিকপক্ষরা মাটি ক্রয়সহ নানা কর্মকান্ড শুরু করেছে। এদিকে ফসলি জমির পাশে ইটভাটা তৈরি হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন সেখানকার কৃষকরা। ওই নতুন ভাটার উদ্যেক্তা রাসেল আহমেদ এর সাথে মোবাইল ফোনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ছাড়পত্রের জন্য দরখাস্ত দিয়েছি এখন পর্যন্ত পাইনি,তবে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত ভাটার কার্যক্রম চালাব না বলে ও জানান তিনি। কৃষকদের অভাবের সুযোগে জমির মাটি কিনে নিয়ে উচু করে রেখেছে ।এতে কৃষি জমি গুলোর উবর্রতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। মাটির উপরিভাগের ১০-১৫ ইঞ্চির মধ্যে উর্বরতা শক্তি থাকে। তাই এসব মাটি খুঁড়ে বিক্রি করার ফলে তা পুনরায় ফিরে আসতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর বারবার তা খোঁড়া হলে এসব জমি ফসল উৎপাদনে স্থায়ী ভাবে একেবারে অক্ষম হয়ে পড়ে। যে কারণে কৃষক কাঙ্খিত ফসল পাচ্ছেন না। জমির মালিকদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে মাটি কেটে নিচ্ছে ইটভাটার মালিকরা। কৃষি বিভাগের অবহেলা ও কৃষকদের অসচেতনতার কারণে এভাবে আবাদি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হলেও এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি। এছাড়াও ওই নতুন ইটভাটার মালিক শাখাতী থেকে ট্রাক্টরে মাটি পরিবহন করার কারণে স্থানীয় রাস্তা নষ্ট হয়েছে। যা বর্ষায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী।
এ বিষয় ৪ নং দলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান খ.ম শফিকুল আলম বলেন,আমার পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে শুরু করেছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কিনা? সেটা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে কথা হলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোজ নিয়ে দেখে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নিব। তবে নতুন ভাটা সংক্রান্ত কোন ছাড়পত্র আমার অফিস থেকে দেওয়া হয়নি বলেই আমি জাননি।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।