ঢাকাSunday , 3 February 2019
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুড়িগ্রামে স্কুলে না গিয়েও সুবিধা নিচ্ছেন সরকারি প্রাথমিকের কিছু শিক্ষক

TITUL ISLAM
February 3, 2019 12:26 pm
Link Copied!

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকরা অনুপস্থিত। অথচ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের ওপর প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া থাকায় প্রশাসনও নীরব ভূমিকা পালন করছে। এতে চরাঞ্চলসহ জেলায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। জেলার বিভিন্ন স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে একই দৃশ্য।
৩০ জানুয়ারি জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ঢলুয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচজন শিক্ষকের পরিবর্তে উপস্থিত আছেন তিনজন। প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান করাচ্ছেন তারাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকলেও অপর সহকারী শিক্ষক সানজিদা শারমিন ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার স্বামী পেশায় কাস্টমস ইন্সপেক্টর আর শ্বশুর উপজেলা শিক্ষক নেতা হাফিজুর রহমান বাবু।
একই উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের টেপারকুটি মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত মাত্র দুজন সহকারী শিক্ষক। এই দুজনই ১৫০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান করাচ্ছেন। উপস্থিত নেই প্রধান শিক্ষকও। এখানে সহকারী শিক্ষক শিরিন আক্তার ২০১৫ সালে যোগদানের পর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তার বাবা আব্বাস আলী একজন অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার। তার বাড়ি ভুরুঙ্গামারী শহরেই। ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খন্দকার শামীমা সুলতানা স্বর্ণালী ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি যোগদান করেন। তিনি একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। অভিযোগ রয়েছে তিনি এখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের টালানাপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও দেখা যায়, উক্ত স্কুলের সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন থেকেও স্কুলে অনিয়মিত। সে ঠিকমত স্কুলে আসে না শুধু রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। উনার নাম্বারে কল দিলেও সে কল রিসিভ করে নাই। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে তাড়া বলেন, স্যারেরা নিয়মিত স্কুলে আসে না তাই আমাদের পড়ালেখাও ঠিকমত করতে পারি না।
ওই দিন পাঁচগাছি আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, এই বিদ্যালয়ে আটজন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক উপস্থিত হয়েছেন। অথচ বিদ্যালয়ের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও শিক্ষকরা নিয়মিত নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এসব শিক্ষক এবং তাদের স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় অন্য সহকারী শিক্ষকরা প্রতিবাদ করার সাহস পান না। ফলে প্রভাব বিস্তার করেই শিক্ষা বিভাগ এবং প্রশাসনের নাকের ডগায় বসেই অনিয়মিত থেকেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এতে করে শিক্ষকদের এমন অনিয়মের কারণে জেলার প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঢলুয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও ফেরদৌসী জানান, সানজিদা শারমিন দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। কিন্তু বেতনভাতাদি তুলছেন কি না আমরা জানি না।
টেপারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহুরুল ও লাইলী বলেন, ‘শিরিন আপা বহুদিন থেকে বিদ্যালয়ে আসেন না। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।’
নাগেশ্বরী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসলেম উদ্দিন শাহ্ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানার পর প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে অ্যাকশন নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কপি দিয়েছি। আমি এই পর্যন্ত বলতে পারি।’
জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, ‘এসব ব্যাপারে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে সরকার কঠোর অবস্থানে। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড়া দেবার সুযোগ নেই।’ শিক্ষক অনুপস্থিতির তথ্য এবং তালিকা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।