ঢাকাTuesday , 15 January 2019
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বোয়ালমারীতে কলেজ শিক্ষকের রমরমা প্রাইভেট বাণিজ্য

TITUL ISLAM
January 15, 2019 10:07 am
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী , ফরিদপুর।

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বোয়ালমারীতে চলছে প্রাইভেট টিউশনির রমরমা বাণিজ্য। এ বিষয়ে শিক্ষা নীতিমালা থাকলেও নেই নজরদারি।

বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার মধ্যে নারী শিক্ষা প্রসারে সুনাম ধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – বোয়ালমারী কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ। কলেজটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ভাল ফলাফল অর্জনের জন্য এলাকার মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে।

ডিজিটাল ক্যাম্পাস সহ আধুনিকায়ন সুযোগ সুবিধা থাকায় আশপাশের এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রয়েছে । আর এই সুযোগে কে পুঁজি করে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী কতিপয় শিক্ষক নিজের স্বার্থে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ‌চেয়ে প্রাইভেট টিউশনিতেই মনোযোগ দিয়েছেন বেশি । অভিযোগ রয়েছে তারা শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের জন্য প্রাইভেট পড়তে বিভিন্ন ভাবে উদ্বুদ্ধ সহ কলেজ পরীক্ষা গুলোতে ফলাফল বিপর্য করে জিম্মি বা বাধ্য করছে তাদের নিকট প্রাইভেট টিউশন পড়তে ।

অত্র প্রতিষ্ঠানের এমনই একজন শিক্ষক প্রফেসর আলমগীর হোসেন। বিএম শাখার কম্পিউটার বিভাগের সহকারী প্রফেসর আলমগীর হোসেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম চলাকালীন- শ্রেণি সময়েই নিজস্ব কোচিং সেন্টারে দিব্যি টিউশনি করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে।

তার বিরুদ্ধে প্রাইভেট টিউশনি ছাড়াও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসহ নিজ খেয়াল-খুশি মত কলেজে আসা যাওয়া সহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল অতীতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী এই শিক্ষক কলেজে পাঠদান আন্তরিক নয়, ছাত্রীদের পরীক্ষা গুলোতে জিম্মি করে প্রাইভেট টিউশনি নিতে বাধ্য করা হয় বলেও জানান একাধিক ছাত্রী ও অভিভাবক, তারা জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ কে এ বিষয়ে অভিহিত করা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে তাকে সতর্ক করলেও তিনি রাজনৈতিক প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করে আসছেন । ছাত্রীদের জিম্মি করে প্রাইভেট টিউশন পড়তে বাধ্য করার বিষয়ে হাইকোর্টের ৭৩৬৬/২০১১ আদেশের প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক প্রণীত “শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২” এ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেন না ।

এ বিষয়ে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার আবু মোরসালিন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান- বিষয়টি জানতে পেরে
গতকাল (১৪/০১/২০১৯) দুপুরে আমি পরিদর্শনে গিয়ে সত্যতা পাই। তিনি আরও জানান- বোয়ালমারী কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন প্রফেসর আলমগীর হোসেনের নিজস্ব কোচিং সেন্টারের গিয়ে দেখা যায়, কলেজের একাধিক ছাত্রীকে তিনি প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে সরকার প্রদত্ত নীতিমালা স্মরণ করিয়ে তাকে মৌখিক সতর্ক করা হয়েছে। এবং কলেজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে ম্যানেজিং কমিটিকে অভিহিত করা হয়েছে। বাকিটা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।

অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বিষয় গুলো প্রাতিষ্ঠানিক বিচারাধীন রয়েছে।বিচারাধীন বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য- ওয়াহিদ জামান তিতাস এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন- লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানতে পেরেছি । এটি কলেজের ভাবমূর্তি ও সুনামের সাথে জড়িত তাই কলেজ কমিটির অপর সদস্য প্রফেসর আব্দুর রশিদ এর সঙ্গে কথা বলে- আমরা মৌখিক ভাবে আগামীকাল ( ১৬-০১-২০১৯) একটি জরুরী মিটিং ডেকেছি। তদন্ত পূর্বক সত্য মিথ্যা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন – কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি , সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম সাহেব কে বিষয়গুলো অবগত করা হয়েছে বর্তমানে তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ রয়েছেন তিনি সুস্থ হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

অভিযুক্ত প্রফেসর আলমগীর হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি ট্রেনিং থাকায় পরে যোগাযোগ করবেন বলে জানান।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।