ঢাকাSaturday , 7 September 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালীগঞ্জে জমজমাট নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের হাট! 

TITUL ISLAM
September 7, 2024 6:11 pm
Link Copied!

রাহেবুল ইসলাম টিটুল, লালমনিরহাট।।
বর্ষা মৌসুমে গ্রামীণ জীবনে মাছ ধরতে ঝাকি, চাক ও কোনা জালের ব্যবহার মিশে আছে সেই দূর অতীত থেকে। সরকারী নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ও ব্যবহার বাড়ছে। খাল- বিল, ছোট্ট নদীতে ঘেরা রয়েছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার অনেক গ্রাম। আর ওই সকল গ্রামের সিংহভাগ বাসিন্দারা সারা বছর নদী-নালা-ডোবা- পুকুর থেকে মাছ শিকার করেন। তবে বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকারের চাহিদা বেড়ে যায়।

আগে প্রায় বাড়িতেই মাছ ধরার জন্য জাল বোনা দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে সময় ব্যয় করে এখন তেমন কেউ আর জাল বোনে না। অধিকাংশ মানুষ বাজার থেকে জাল কিনে অনেন। জাল বিক্রির এমনই একটি পসরা বসেছে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাঁপারহাটে। ছোটখাট জালের দোকানে গ্রামের সাধারণ মানুষদের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছ ধরার নানা সাইজের ঝাকি, কোনা এবং চাক জাল ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সঙ্গে দাম হাকিয়ে বেচাবিক্রি করছে। এ সময় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও বিক্রি করতে দেখা যায়। সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ক্যামেরা দেখে অনেকে ব্যবসায়ী না বুঝে  ভয়ে স্থান ত্যাগ করে।

জাল ব্যবসায়ী মানিক মিয়া জানান, সারা মাস ওই স্থানে বসে এই ঝাকি, চাক ও কোনা জাল বিক্রয় করে আসছেন। বর্তমানে কারেন্ট জালের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে এই জালের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কিন্তু পূর্বপুরুষের পেশা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য এখনো এই জাল বিক্রয় করে যাচ্ছেন তিনি।

জালের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী মঈনুল হোসেন জানান, সাইজ অনুযায়ী জালের বিক্রয়মূল্য একেক রকমের। বড় আকারের ঝাকি জাল সর্বনিম্ন ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এছাড়াও মাঝাড়ি আকারের ঝাকি জাল ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। চাকজাল সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনা জাল ৬৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন,‘বর্ষার সময়ে জালের চাহিদা বেশি থাকায় আমাদের বেচাবিক্রি ভালো হয়ে থাকে। প্রতিদিন গড়ে ৭-৮ টা এবং তার বেশিও ছোট বড় ঝাকি জাল বিক্রি হয়। কিন্তু এই মৌসুম শেষ হলে অলস হয়ে পড়ে থাকতে হয়। তখন প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টা  জাল বিক্রি করতে পারি। তাও আবার সামান্য লাভে। এমনও সময় যায় সপ্তাহে একটাও বিক্রি করতে পারি না।’

উপজেলার কাকিনা থেকে চাপারহাটে জাল কিনতে এসেছেন হায়দার  আলী। তিনি বলেন, হাটে হরেক রকম জাল পাওয়া যায়। তাই জাল কিনতে এসেছি এখানে। পছন্দমত ঝাকি জাল কিনলাম।

জানা গেছে,  লালমনিরহাট জেলার বৃহত্তম হাট চাপারহাট। সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাট বসে। জেলা- উপজেলা থেকে এখানে হাজারো মানুষ আসেন। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার দুই দিন সাপ্তাহিক হাট বসে। বিভিন্ন স্থান থেকে জাল ক্রয় করতে আসেন ক্রেতারা। জেলেরা হাটের দিন এখানে বিভিন্ন ধরনের জাল বেচা- কেনা করে থাকেন। যার কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখানকার জালের হাট।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম জানায়, প্রতি সপ্তাহে হাট গুলো পরিদর্শন করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যেমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল চোখে পড়লে পুড়িয়ে ফেলা ও ব্যবসায়ীর জরিমানা করা হয়ে থাকে। এর  আগেও শতাধিক নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিভিন্ন ডোবা থেকে জেলেদের মাধ্যেমে তুলে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে নিষিদ্ধ জাল বিক্রি না করে এজন্য তাদের বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।