ঢাকা: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হচ্ছে ১০ মার্চ থেকে; প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলায় ভোট হবে।
সিইসি কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে অন্তত ৪৮০টিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে এ ভোট হবে।
ইসি সচিব বলেন, কমিশন সভায় এবার পাঁচ ধাপে ভোট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ মার্চ প্রথম ধাপে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রজশাহী বিভাগের ৮৭ উপজেলায় ভোট হবে।
প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১১ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি।
মার্চ মাসেই পরবর্তী চারটি ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ হবে ভোট। পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (দেশের অর্ধেক উপজেলায়) এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অর্ধেক উপজেলায়) রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ তোলার পর উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন স্থানীয় সরকারের দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে সব দলকে ভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, যেসব জেলায় এডিসি (জেনারেল) রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকবেন সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
যেখানে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, সেখানে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হবেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সদর উপজেলায় দুজন করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পাবেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল।
আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এবার উপজেলা ভোটেও ব্যবহার হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। জেলার সদর উপজেলায় পুরোপুরি ইভিএম ব্যবহার করা হবে।