রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিন-মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ।
শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। জেঁকে বসা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠান্ডর কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা।
শনিবার সকালে লালমনিরহাটে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এই শীতে খেটে খাওয়া মানুষরা আছেন চরম বিপদে। ২-৩ দিন ধরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টার পর থেকে রাতভর ঘন কুয়াশা ঝরছে এ অঞ্চলে। রাত যতই গভীর হয়, কুয়াশার মাত্রাও ততই বাড়তে থাকে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই-তিনদিন থাকতে পারে।