ক্রিকেটে ২০১৮ সাল দারুণ কাটিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে একাধিক সিরিজ জয়ের সঙ্গে বিদেশে এশিয়া কাপসহ বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন মাশরাফি-সাকিবরা। কিন্তু সফলতার বেশিরভাগই ছিল দেশের মাটিতে। তাই সাফল্যটাও ছিল ধারাবাহিক। কিন্তু সেই তুলনায় নতুন বছরটা বেশ চ্যালেঞ্জিং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। শুধু চ্যালেঞ্জিং নয়, বছরটাকে অত্যন্ত কঠিন বলে মানছেন স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
অবশ্য পাপনের কঠিন বলার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। চলতি বছরে বাংলাদেশ যতোগুলো ম্যাচ খেলবে তার বেশিরভাগই হবে বিদেশের মাটিতে। যার জন্য প্রতিপক্ষ তো আছেই, সেই সঙ্গে পরিবেশটাও বেশ প্রতিকূল হবে টাইগারদের জন্য। তাছাড়া সামনে বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্ট। সবমিলিয়ে বছরটা যে কঠিন হবে সেটা স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বুধবার বিকালে প্রথমবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এসময় ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলব ২০১৮ সাল আমাদের জন্য ভালো একটি বছর গিয়েছে। শুধু শেষটা ভালো হয়নি। অবশ্য শুধু ২০১৮ সালই নয়, গত চার-পাঁচ বছর ধরেই ছেলেরা যে পারফরম্যান্স করছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। একটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের দেশে এবং এই উপমহাদেশে আমরা যে কাউকে হারাতে পারি। কিন্তু নতুন বছরটি সবচেয়ে কঠিন। কারণ এ বছর বেশিরভাগ খেলাই বিদেশে। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা বা উইন্ডিজ- এসব দেশে যখন খেলতে যাবেন তখন অবশ্যই অনেক কঠিন হবে সেটা। আমরা ওই ধরনের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত না। সেখানে আমরা পুরোপুরি ভিন্ন কন্ডিশন পাব। সেদিক থেকে আমি বলব, ২০১৯ সাল অত্যন্ত কঠিন হবে। আমাদের জন্য এটি অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে।’
ক্রিকেটের পাশাপাশি ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সাংসদ হওয়ার প্রসঙ্গেও কথা বলেন পাপন। একটি দেশের সাংসদ হয়ে ক্রিকেট খেলাটাকে বিরাট বিষয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি তো একটি সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার। আমার মনে হয়, ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এটি হতে যাচ্ছে। আমার এটি জানা নেই বা কখনো শুনিনি যে, একজন পার্লামেন্ট সদস্য ক্রিকেট খেলছে মাঠে এবং অধিনায়কত্ব করছে। সুতরাং এটি পুরোপুরি নতুন হবে এবং আমি অনেক রোমাঞ্চিত এটি নিয়ে।’
তবে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও মাশরাফির মাথায় যে ক্রিকেটই আগে তা নিয়ে সন্দেহ নেই পাপনের। তার কথায়, ‘আমার মনে হয়, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। কারণ একটি জিনিস মনে রাখবেন, মাশরাফি রাজনীতিতে এসেছে এবং সে অনেক বেশি সিরিয়াস। ওর চিন্তা হলো মানুষের জন্য কাজ করা। এলাকার মানুষের জন্য সে কিছু করতে চায়। তবে এটি যেমন সত্য তেমন ওর মনের মধ্যে যে সারাক্ষণ ক্রিকেটই আছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ও একদম ওখান থেকে সরাসরি অনুশীলনে চলে গিয়েছে। বিপিএল শুরু হতে যাচ্ছে। সুতরাং নিজের খেলার প্রতি সে সম্পূর্ণ সিরিয়াস আছে। একটুও পরিবর্তন হয়নি তার।’