লালমনিরহাটে কালীগঞ্জে ঈদের দিন ছিল প্রচণ্ড রোদ আর তাপপ্রবাহ। তবে দ্বিতীয় দিন মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। মাঝে মধ্যে রোদের দেখাও মিলছে। তাই রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে।
লাখো মানুষের ভিড়ে ব্রিজে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কেউ আসছেন মোটরসাইকেলে আবার কেউ অটোরিকশায় কেউ বা মাইক্রোবাসে চেপে। তিস্তার ভাটিতে নৌকা আর স্পিডবোটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। ব্যারাজের ওপর মোবাইল ফোনে সেলফি তুলে ব্যস্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ। হরেক রকমের বসেছে অস্থায়ী দোকান
লালমনিরহাট উপজেলা থেকে আসা রনি ইসলাম বলেন, আমরা ১৫ বন্ধু মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুতে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। প্রতি ঈদে আমরা আনন্দ উপভোগ করতে এখানে ছুটে আসি।
রংপুর থেকে এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রুবি আক্তার বলেন, বোন-ভাগনি মিলে ঘুরতে এসেছি। আগের চেয়ে পরিবেশ অনেক ভালো।
দিনাজপুর থেকে আসা দর্শনার্থী শফিকুল বলেন, এ প্রথম তিস্তায় সেতুতে এলাকায় ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। উত্তরবঙ্গে এমন একটি ব্রিজ আছে তা দেখার মতো। এখানে এসে আমরা আনন্দিত। নদীতে নৌকায় ঘুরতে ভালো লেগেছে।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশ বলেন, অত্র এলাকায় কোনো বিনোদনকেন্দ্র না থাকায় প্রতিবছর পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা সেতুতে আনন্দ উপভোগ করতে আসছেন। সেতু এলাকায় আনসার ও পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে।
এদিকে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার মানুষের মেলবন্ধনে মহিপুর-কাকিনা পয়েন্টে নবনির্মিত শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতুতে ছুটছেন হাজারো মানুষ। এখানে আসা সিংহভাগই তরুণ-তরুণী। বাবা-মায়ের হাত ধরে এসেছে শিশুরাও।