ঢাকাWednesday , 22 June 2022
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালীগঞ্জে পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনা অমান্য!    থামছেই না অতিরিক্ত খাজনা আদায় 

TITUL ISLAM
June 22, 2022 1:18 pm
Link Copied!

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায় অব্যাহত রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় থামছে না। সেই সঙ্গে টাঙানো হয়নি খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকাও।
গত ১২ মে উপজেলার তালুক বানীনগর এলাকার ফরিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ঘটনায়  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি। আগের নিয়মেই চলছে খাজনা আদায়। নিয়ম অনুযায়ী শুধু ক্রেতার কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্য নেওয়ার কথা থাকলেও হাটে বিক্রেতাকেও গুনতে হয় অতিরিক্ত খাজনা।
কালীগঞ্জ উপজেলায় ইজারাকৃত হাটবাজার রয়েছে অন্তত ২৩ টি। এরমধ্যে চাপার হাট, চামটা হাট, কাকিনা হাট ও শিয়ালখায়া হাট, ভূল্যারহাট, কালীগঞ্জ হাট অন্যতম। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে এসব হাটে গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন পশু এবং পণ্যের কেনাবেচা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটের ইজারাদার প্রতিটি গরু বাবদ ক্রেতাদের কাছ থেকে  ৪০০ টাকা এবং  বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিটি গরু বাবদ ২৫০ টাকা করে খাজনা আদায় করছেন। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র ক্রেতার কাছ থেকে প্রতিটি গরু বাবদ ৩৫০ টাকা করে খাজনা আদায়ের নির্দেশ রয়েছে।
অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলেও  ক্রয়ের রসিদে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হচ্ছে না।
চামটা হাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এই হাটে কোথাও খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়নি। সরকারি নীতিমালা বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া হারে খাজনা আদায় করে চলেছেন ইজারাদার।
কোরবানির হাটে বর্তমান হারের তুলনায় দিগুন হারে খাজনা আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চাপার হাট ও কাকিনা হাটে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র। এই হাট দুটিতে গরু কিনতে আসা লোকমান হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, এরশাদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাট ইজারাদারের নিয়ম অনুযায়ী খাজনা দিতে হচ্ছে। এখন প্রতি গরু বাবদ ৪০০ টাকা করে ক্রেতাকে দিতে হয়। বিক্রেতাকে দিতে হচ্ছে  ২৫০ টাকা করে। কিন্তু ক্রয়ের রসিদে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হচ্ছে না।
অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও তালিকা টাঙানোর বিষয়ে চামটা হাটের ইজারাদার হুমায়ুন কবীর মিন্টু বলেন, অভিযোগের পর ইউএনও আমাকে খাজনার তালিকা টাঙানো ও অতিরিক্ত খাজনা না নেয়ার বিষয়ে বলেছেন। আমি অন্যান্য হাটে যেভাবে ইজারা নেয় সেভাবেই নিচ্ছি। তিনি তাঁর হাটে খাজনা আদায়ের তালিকা টাঙানো আছে বললেও কোথাও কোন তালিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাকিনা হাটের ইজারাদার মোঃ ইউনুস আলী খাজনা আদায়ের তালিকা টাঙানো নেই জানিয়ে বলেন, আমরা গরু ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নেই এবং বিক্রেতার কাছ থেকে যে যেভাবে দেয় সেটাই নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান   বলেন, চামটাহাটের ইজারাদার অতিরিক্ত খাজনা নিবেন না এবং খাজনার তালিকা টাঙানো হবে বলে জানিয়েছেন। এখনও যদি কোন হাট ইজারার খাজনা তালিকা না টাঙায় ও অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে তাহলে তাঁদের রিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।