লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জামেনা রওশন আরা মহিলা কলেজের পরিচালনা কমিটি কর্তৃক নিয়োগ বাণিজ্য ও পছন্দের লোক নিয়ে পকেট কমিটি গঠনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠা সদস্যরা।
২১ শে জুন মঙ্গলবার দাতা সদস্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও জমি দাতা মাহ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমাদের মরহুম পিতা ও জেঠা কর্তৃক চাপারহাটে শামসুদ্দিন ও কমর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার ন্যায় অত্র এলাকার নারী শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ২০১১ ইং সালে আমার স্ব-নামীয় ২৩.৫০ শতক জমি দানপত্র করে দুই মায়ের নামে জামেনা রওশন আরা মহিলা কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করি।আমার অপর বিমাতা ভ্রাতাগণও ঐ প্রতিষ্ঠানে জমি দান করে।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পূর্বে সিদ্ধান্ত হয় যে,মাতা জামেনা বেগমের পক্ষে মো.মাহ আলম ও মাতা রওশন আরার পক্ষে মো.জাহাঙ্গীর আলম পুত্রদ্বয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হইবেন। সেই মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটি অবকাঠামো নির্মাণের সময় আমি মো.জাহাঙ্গীর আলম কে নগদ ১০ লাখ টাকা প্রদান করি।
ইহা ছাড়াও কলেজ অঙ্গনে আমার ক্রয় কৃত ৮.৫ শতক জমির মুল্য পরিশোধের প্রতিশ্রæতি দিয়ে কলেজ ভবন নির্মাণ করেন। কিন্তু সেই জমির মুল্য আজ পর্যন্ত তিনি পরিশোধ করেননি।
এমন কি কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত করে তার পছন্দমত লোকজন নিয়ে একটি পকেট পরিচালনা কমিটি গঠন করে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্য শুরু করায় গত ০৯/০৮/২০১৫ ইং সালে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করি।
জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে তার পক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে যাচাই না করে পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় গ্রহন পূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অপরদিকে আমার অভিযোগের কোন বিষয় সরেজমিনে তদন্ত করা হয় নাই। পরে ২০১৫ইং সনের ২রা ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদনপত্র দাখিল করি বর্তমানে এ বিষয়ে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।