ঢাকাThursday , 19 August 2021
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফের বেড়েছে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

TITUL ISLAM
August 19, 2021 3:57 pm
Link Copied!

রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।

উজানের পাহাড়ি ঢল ও হালকা বৃষ্টিতে আবারও তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার)।

জানা গেছে, গত কয়েক দিন বাংলাদেশ ও ভারতের সিকিম উপত্যকা থেকে সৃষ্ট তিস্তা নদী ভারতে প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাট জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ষাকালে অতিবর্ষণের ফলে ভারতের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যা আর তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার তীরবর্তী মানুষ।

উজানের পাহাড়ি ঢলে গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাত থেকে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়ে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিপৎসীমা অতিক্রম করে। দিনভর বৃষ্টিতে আরও বাড়তে থাকে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ।

এদিকে ব্যারাজ রক্ষার্থে সব জলকপাট খুলে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর বাঁ তীরে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লকডাউনের ধকল না কাটতে বন্যার শঙ্কায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তাপারের মানুষ।

অন্যদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ভোটমারী (নাককাটির ডাঙ্গা) গ্রামের শৌলমারী চরে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। সেখানে তিস্তার বুকে একটি রাস্তা তৈরি করে তারা। ফলে নদীর পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে দুই তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাস্তার কারণে চরের মাঝে পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ডুবে আছে চরের অনেক জমি।

করোনার কারণে দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় বন্যার জন্য গচ্ছিত খাদ্য শেষ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিস্তা চরাঞ্চলের এসব ছিন্নমূল মানুষ। জেলার পাঁচটি উপজেলার শত শত পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু বৃদ্ধ আর প্রতিবন্ধীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। গবাদিপশু-পাখি নিয়েও চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে পানিবন্দি পরিবারগুলো।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে রাতে বিপৎসীমার নিচে নেমে আসারও আশঙ্কা রয়েছে। এতে চিন্তার কোনো কারণ হবে না। তবে পানি কমে যাওয়ার পর ভাঙনের কবলে পড়তে পারে অনেক পরিবার।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।