সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, জনগণের বাস্তবিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এবং প্রকল্পের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বাস্তবায়নাধীন সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুম-এ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। যে সকল প্রকল্পে জমি-সংক্রান্ত বিষয় আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে জমি রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অহেতুক কালক্ষেপণের প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে। নির্ধারিত সময়ে কাজ বাস্তবায়ন না করলে সংশ্লিষ্ট সকলকে জবাবদিহি করতে হবে।’
বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ এলাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে সবসময়ই নানা দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে। এ সময় করোনার কারণে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে দ্বিগুণ উদ্যমে কাজ করতে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের নির্দেশ দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।
সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান বলেন, সারাদেশে শিশু নিবাস ও সংশোধনাগারের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এ সকল প্রতিষ্ঠানসমূহে ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক সংখ্যক নিবাসী রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় এ সকল প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হচ্ছে। সুত্র জাগো নিউজ।।