রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নে ঈদের দিন সকালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দুই’শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছেন ৮ জন।
‘অধিকাংশ মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ঈদের আনন্দ-উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়ে সবগুলো পরিবার অনাহারে-দিন কাটাচ্ছে’।
ঈদের দিন ঝড়ে লন্ডভন্ড ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবার গুলো দিনে মাত্র একবেলা খাবার যোগাড়ের চিন্তা ব্যাকুল, তাই ঈদের আনন্দ পৌঁছেনি তাদের কাছে। বরং দিনগুলো অন্য কয়েকটা দিনের চেয়েও কঠিন সংগ্রামের। ঈদের সেমাই-পায়েসের চেয়ে ঝড়ে পড়ে থাকা ঘর-বাড়ি উদ্ধার করে মাথা গোজার মতো পরিবেশ তৈরি আর ঘরবাড়ি রক্ষা করাই তাদের কাছে মুখ্য।
এমনই কাটছে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত চলবলা ইউনিয়নের সোনারহাট, সতীরপার,বান্দেরকুড়া, শিয়ালখোওয়া এলাকার ২ হাজার মানুষের ঈদ।
স্থানীয়রা জানান, সকালে হঠাৎ আকাশে ঘন মেঘ দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই ঝড়ের আঘাতে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সোনারহাট, সতীরপার, বান্দেরকুড়া, শিয়ালখোওয়া এলাকায় মুহূর্তে দুই’শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা ও সবজি বাগান লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ঝড়ে উড়ে গেছে অনেকের ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ের আঘাতে অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, সেমিপাকা ভবন, দোকানপাট, বিদ্যুৎতের খুঁটি, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
শিয়ালখোওয়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ’ হঠাৎ ঝড়ে সব কিছুই লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পরিবার পরিজনদের নিয়ে চিন্তায় আছি।ঈদের সেমাই মুখে দিতে পারিনি এখনো।’
চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ঈদের দিন সকালে
ঘূণিঝড়ে আমার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অধিকাংশ ঘড় বাড়ি, গাছপালা, ফসলি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
বিধ্বস্ত পরিবারের মানুষ গুলো এখন খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে, এবারের ঈদ আমাদের জন্য না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
লালমনিরহাট-২ আসনের সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ (এমপি) বলেন, চলবলা ইউনিয়নে ঘূর্ণি ঝড়ের আঘাতে দুই’শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লণ্ডভণ্ড হওয়ার বিষয়টি জেনেছি, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।