লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট সদর উপজেলার সাপটানা এলাকায় গৃহবধু খুরশিদা আক্তার ইভাকে শারিরীক নির্যাতন করেছে স্বামী ও পরিবারের লোকজন।গুরুতর আহত ইভাকে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের সহায়তায় স্বজনরা উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।এ ঘটনায় আহত ইভার ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে জেলা সদরের সাপটানা এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাছান আল হাবীব নিউটনের সাথে বিয়ে হয় রংপুর জেলার পীরগাছা থানার গুয়াবাড়ী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে খুরশিদা আক্তার ইভার।কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল নিউটন।
গৃহবধু ইভার বাবা না থাকায় মাঝে মাঝে ভাইদের নিকট হতে টাকা এনে দিত তার স্বামীকে।কিন্তু যৌতুক লোভী স্বামী সবসময়ই টাকা চায়।এবং এজন্য স্ত্রী ইভাকে প্রায় সময় মারধোর করে। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে স্বামী নিউটন,ননদ হ্যাপি বেগম ও পলি বেগম যৌতুক বাবদ ২লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে বলে।
ইভা অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা সবাই মিলে ইভাকে নির্যাতন করে ব্যাপক মারধোর করে।পরে স্থানীয়রা থানায় ও মেয়ের ভাইকে খবর দেয়।এসময় মেয়ের বড় ভাই হাবিবুর রহমান পুলিশের সহায়তায় আহত ইভাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমিনা বেগম জানান,মেয়েটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।এটি পুলিশ কেস।তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এসময় বাদী হাবিবুর রহমান জানান,ইতোপূর্বে যৌতুক বাবদ তিন লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল এবং আরো ২লাখ টাকা দাবী করে।টাকার জন্য ননদদের ইন্ধনে স্বামী নিউটন সবসময় আমার বোনের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়।তারা আমার অসুস্থ বোনকে হাসপাতাল ছাড়ারও হুমকি দেয়।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ আলম জানান,থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।এঘটনায় তদন্ত করে মামলা গ্রহন করা হবে।