ঢাকাThursday , 31 January 2019
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে কুচলিবাড়ি সড়কের বেহাল দশা, দূর্ভোগের ২৫ হাজার মানুষ

TITUL ISLAM
January 31, 2019 9:15 am
Link Copied!

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী জনগুরুত্বপূর্ণ ওই উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম কলসিমুখ আঞ্চলিক সড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কে ৩ কিলোমিটারে অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ বেহাল দশা সড়কটি দিয়ে উপজেলা সদরে চলাচল করতে গিয়ে ওই এলাকার ৩০ টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সড়কটির এই দুরঅবস্থা বিরাজ করলেও এলাকার মানুষের জনদূর্ভোগ লাঘবে প্রচেষ্টা নেই সংশ্লিষ্টদের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিডি) পাটগ্রাম উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের দিকে স্থানীয় এলজিইডির অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে পাটগ্রাম- ললিতারহাট সড়কটির সাড়ে ৩ কিলোমিটার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ সালের দিকে ললিতারহাট থেকে সীমান্ত গ্রাম কলসিরমুখ পযর্ন্ত সড়কটির তিন কিলোমিটার কাপেটিং করা হয়। এরপর দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় ওই সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃস্টি হয়েছে।

এলাকাবাসি জানান, বৃষ্টি ও প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্ডসহ সড়কের দু’পাশের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি সংস্কার করা না হলে ললিতারহাট, ডাঙাপাড়া, কবরস্থান, কুচলিবাড়ির, কলসিরমুখ বিজিবি ক্যাম্প, কবরস্থান, গিরিয়ারপাড়, দৌলতপুরগ্রাম, মেম্বরের বাড়ি, কুচলিবাড়ি, দোইয়ালেরটারী, টেইলেনটারী, কলসিরমুখ, ভেদলোটারী, ডাঙাপাড়া, নদীরপাড়. দরগারপাড়সহ অর্ন্তত ৩০ টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিলিষ্টদের নিকট আবেদন করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সড়কটির এই দুরঅবস্থা বিরাজ করলেও এলাকার মানুষের জনদূর্ভোগ লাঘবে প্রচেষ্টা নেই সংশ্লিষ্টদের। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি মেরামতে যেন দেখার কেই নেই। তাই সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে জনস্বার্থে এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে অধিবাসীর।

সরেজমিনে সরকারি কলেজ মোড় থেকে করসিরমুখ পযর্ন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটারের তিন কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। এবং সড়কটির দু’পাশে ঢালে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে একটি গাড়ি আরেকটি পাশ কেটে যেথে পারছে না। তার সাথে সড়কটিতে একটি সেতুর দু’পাশে মুখেও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসিসহ ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান, রিকশায় চলাচল করছে। তবে গর্তের কারণে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে।
এ সময় ওই ইউনিয়নের দৌলতপুরগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব (৫০) বলেন, র্দীঘদিন ধরে এ সড়কটি ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে কৃষক ও মানুষতো দুরের কথা রোগী নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। দীর্ঘদিন থেকে চলাচলে অনুপযোগী এই সড়কে চলতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটার শিকার হচ্ছেন অনেকই। তাই সড়ক তো নয় যেন মরণ ফাঁদ। তাছাড়াও মালামাল পরিবহনে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ভাড়া।

কসসিরমুখ গ্রামের লিয়াকত মিয়াসহ পাঁচজন কৃষক বলেন, তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের হাটবাজারের নিতে হয়। আধখান (অর্ধেক) রাস্তা ঠিক করছে তা থেকি হইল। বাকি কাজ কোনদিন করবে। এতে এই ভাঙাচোরা খালা-খন্ডে ভরা সড়কের কারণে ভ্যান চালকরা ভাড়া নিয়ে চায় না। আবার নিলেও এ জন্য অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়ার গুনতে হচ্ছে তাঁদেক। আবার হাটে সময় মত পণ্য নিতে না পারলে দামও কমে বিক্রি করতে হয়। ফলে সড়কের কারণে দুইদিকেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা সড়কটি সাত-আট বছর হলো সংস্কার করা কথা কেউ ভাবচ্ছেই না ?

কয়েকজন বিজিবি’র সদস্য বলেন, তাঁদের সীমান্ত ফাঁড়িতে যাওয়া একমাত্র সড়ক এটি। এর বিকল্প একটি সড়ক থাকলেও সেটি মাটির রাস্তা। ফলে সীমান্তে কোন ঘটনাঘটলে এই ভাঙ্গাচোরা রাস্তাদিয়ে গেলে সময়মত ঘটনাস্থলে যাওয়া যায় না।

মোহাম্মদ আলী নামে একজন ভ্যান চালক জানান, ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে প্রায় তাঁর ভ্যান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ জন্য বেশি মাল নেয়া যায় না । পেটে দায় বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। এতে গাড়িও ভাঙচ্ছে বসেও থাকতে হচ্ছে। দৌলতপুর ও কলসিরমুখ গ্রামে চারজন কলেজ ছাত্র-ছাত্রী বলেন সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পায়ে হাট যায় না ভ্যানগাড়িতে যাতায়াতের কষ্ট হয় আবার সময়ও বেশি লাগে।

কুচলিবাড়ি ইউনিয়নর চেয়ারম্যান হামিদুল হক বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা ইতিমধ্যে উপজেলা সমন্বয় বৈঠকেও বলা হয়েছে। তাছাড়াও স্থানীয় এলজিইডির প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

পাটগ্রাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিডি)’র প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোঃ শামসুজ্জামান জানান, গত বছরে ওই সড়কের প্রায় সাড়ে তিনকিলোমিটার সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। তবে এর বাকী অংশের সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে প্রকল্পের আওতায় অনুমতি আসলেই। সড়কটি মেরামত করার কাজ শুরু করা হবে।

ছবি ক্যাপশনঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা সদর কলসিরমুখ আঞ্চলিক সড়কের সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়কে তিন কিলোমিটারেই ভাঙাচোরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল মানুষ । ছবি গুলো সম্প্রতি তোলা ওই সড়কের দৌলতপুর গ্রাম থেকে তোলা।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।