সাংবাদিক বাক্যটি অনেক সম্মানের ও মহান পেশা হিসেবে বিবেচিত।
লেখক রাহেবুল ইসলাম টিটুল।
কিন্তুু অনেক সাংবাদিক অাছে যারা এই মহান সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকে এক সময় পেশার মান-সম্মান ধরে রাখতে পারেন না। বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে,অাজ সকালে অামার ফেসবুকের এক সাংবাদিক বন্ধু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,অামাকে ফোন করে সাংবাদিকতা জীবনের বুকে চাপা কিছু কষ্টের কথা অামার সাথে শেয়ার করেন।
কথা গুলি ছিলো এমনই ভাই,বেতন নাইবা দিলেন,একজন সাংবাদিক যদি পত্রিকা থেকে তার পারিশ্রমিক অথবা সম্মানী না পায় তাহলে সে কি করে বাঁচবে। একটি সংবাদ সংগ্রহ করতে একজন সাংবাদিকের যাতায়াত ভাড়া,খাওয়া খরচ,কম্পিউটার কম্পোজ,মোবাইল খরচ,ইন্টারনেট সহ ইত্যাদি তাকে বহন করতে হয়। শুধু এখানে শেষ নয়। হুমকি দামকি,হামলা মামলা,নির্যাতন নিপিড়নের অাশংঙ্কা প্রতিনিয়ত।
নিরাপত্তা নেই বললে চলে। অতিব দুঃখের সহিত বলেন,যারা রোদ,ঝড়,বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করেন,জীবনের ঝুকি নিয়ে যে সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করে অফিসে নিউজ পাঠায়,দেখা যায় পত্রিকা অফিস থেকে সে তার নিউজের বিনিময়ে কোনো পারিশ্রমিক অথবা সম্মানী পায়না। এখানে শেষ নয়,অারও বলেন,খরচ দিলে নিউজ ছাপা হবে। না দিলে হবেনা।
অাইডি কার্ডের খরচ বাবদ যার থেকে যেমন নেয়া যায়। কার্ডের মেয়াদ শেষে অাবার নবায়ন বাবদ খরচ দিতে হবে। দেখা গেল একজন সাংবাদিক বিপদে পড়েছে,মিথ্যে মামলায় থানা হাজতে অাছে। তখন সম্পাদকের কাছে সাংবাদিকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে,সম্পাদক বলে দিলেন অামি তাকে চিনিনা,জানিনা। তখন সাংবাদিক বিপদ থেকে অারও বিপদে পড়ে গেলেন। কিন্তুু পত্রিকা অফিসের কতৃপক্ষ অথবা সম্পাদকগণ যদি সাংবাদিকদের প্রতি একটু বিবেচনা না করেন তাহলে সাংবাদিকরা কি করে বাঁচবে,অার কি ভাবে সাংবাদিকতা করবে।
তা ছাড়া ওদের ওতো পেট অাছে,ঘর সংসার অাছে। এক সময় পেটের দায়ে,সংসার টিকিয়ে রাখতে কিছু সাংবাদিক অপরাধ জগতে জড়িয়ে যায়। তখন সে বুঝতে বা জানতে চায়না কোনটা সম্মানের অার কোনটা অসম্মানের। এক সময় নিজের ও সাংবাদিকতা পেশার মান-সম্মানের কথা ভুলে যায়।