লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দিন দিন প্রবীণ ব্যক্তিদের মধ্যে একাকিত্ব বেড়ে চলেছে। আগে যেখানে পরিবার ছিল তাদের আনন্দ-আলাপের কেন্দ্র, এখন সেই স্থান দখল করছে নিঃসঙ্গতা ও নীরবতা। পরিবারের তরুণ সদস্যদের কর্মব্যস্ততা, বিদেশে প্রবাসজীবন কিংবা আলাদা থাকার প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে প্রবীণরা ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন।
স্থানীয় সমাজকর্মীরা জানান, বর্তমানে লালমনিরহাটের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরাঞ্চলে অনেক প্রবীণ ব্যক্তি দিন কাটাচ্ছেন নিঃসঙ্গভাবে। কেউ কেউ সংসারে উপেক্ষিত, আবার কেউ বা সন্তানদের দূরে থাকার কারণে কাটাচ্ছেন নিঃসঙ্গ জীবন। এতে অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ, হতাশা ও শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে।
যেমন মহাসিন আলী নামের একজন বয়স ৬৫ বছর তার বাড়ি কালীগঞ্জে উপজেলার বৈরাতী গ্রামে তিনি ছেলে মেয়ে থাকার পরে ও একাকিত্ব জীবন জাপন করছে।
লালমনিরহাট সমাজসেবা দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, “প্রবীণরা শুধু সহানুভূতি নয়, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গ ও ভালোবাসা চান। তাদের পাশে থেকে কথা বলা, সময় দেওয়া—এটাই সবচেয়ে বড় যত্ন।”
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, পারিবারিক সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করলেই প্রবীণদের একাকিত্ব অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এজন্য পরিবার ও সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রবীণরা আমাদের সমাজের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার। লালমনিরহাটে তাদের একাকিত্ব দূর করতে পারিবারিক সচেতনতা ও সামাজিক উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।