রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।
তিস্তায় তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভনে ও অধিক মুনাফার আশায় দিন দিন তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন তিস্তায় পাড়ের কৃষকেরা।
তামাক উৎপাদনের আগেই কোম্পানিগুলোর বিক্রির নিশ্চয়তা, দর নির্ধারণে চাষিদের
অতি লাভজনক হওয়ায় বাড়ছে তামাক চাষ, আর কাজে আসছে না কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ।
গতবছরের তুলনায় এবছর এই বিষপাতার চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ সেই সাথে কমছে জমির উর্বরতা এবং বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
কয়েক বছর আগেও লালমনিরহাটের তিস্তা সহ যেসব এলাকায় আবাদি জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা ও আলুসহ বিভিন্ন আগাম জাতের সবজী চাষ করা হতো, সেসব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে।
লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলাসহ তিস্তা নদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের জমিগুলোতে দিন দিন তামাক চাষ বেড়েই চলেছে । এসব তামাকের জমিতে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের দিয়ে চলছে পরিচর্যার কাজ।
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের কৃষকরা মান্নান জানান জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা তামাকের চাষ বেশি হয়। আর এর কারণ, অন্যান্য ফসল চাষকরে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এবং শ্রমিকের অধিক মূল্য হওয়ায় তারা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে অধিক মুনাফার আশায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি জেনেও তারা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তারা আরো বলেন, সিগারেট কোম্পানির মাধ্যমে তামাক চাষীদের জন্য একর প্রতি জমিতে বিজ ও নগদ টাকা । সেই সঙ্গে ইসুবি সারের জন্য টাকা, সার আগাম দেওয়া হয়।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, তামাক চাষ ও সেবনে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তামাক পাতার বিড়ি, সিগারেট, গুল, খইনি ও জর্দাসহ নানান ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করায় বাড়ছে শ্বাসকষ্ট,স্টক, চর্ম , যৌন, ক্যানসারসহ নানা রোগ। তামাক চাষের কারণে কৃষকদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন শিশুসহ, সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন,এবছর লালমনিরহাট জেলার ৫ টি উপজেলা মোট ১৫ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ কারা হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় ৯ হাজার ৮ শত ৬৫ হেক্টরের বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে ।
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2025 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.