সুপারিশবঞ্চিত এক প্রার্থীর মামলার কারণে ফের আটকে গেছে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পৌনে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ।
এর আগেও এ নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল। সে মামলার জটিলতা কাটিয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়েছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আবারও মামলা হওয়ায় এ নিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে এনটিআরসিএ বলছে, মামলা-সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগের মামলার মতো এ মামলার জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা সম্ভব হবে।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বলেন, চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ করতে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আগের নিয়োগে সুপারিশবঞ্চিত এক প্রার্থীর মামলার কারণে আবারও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করে শিগগির চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
এছাড়াও, এনটিআরসিএ থেকে জানা যায়, তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশবঞ্চিত সমাজবিজ্ঞান থেকে পাস করা এক প্রার্থীর মামলার কারণে হাইকোর্ট এ নিয়োগ কার্যক্রমের ওপরে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে। চেম্বার জজ আদালত থেকে ইতিবাচক রায় পেলে দ্রুত এ নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়ে এর আগে গত ১৭ আগস্ট চিঠি পাঠায় এনটিআরসিএ। ওই চিঠিতে ২৭ হাজার ৭৫৪ জন শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন চাওয়া হয়।নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করে গত ১২ মার্চ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৩২ হাজার ৪৩৮ প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়। এসব প্রার্থীর মধ্যে ভিআর ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ৩৬ হাজার ৮৮২টি শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল। সব কটি পদই এমপিওভুক্ত। বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি সহজ করার পাশাপাশি একজন প্রার্থী পছন্দের সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন। এগুলোতে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেলে যোগ দেবেন কি না, তা বাছাইয়েরও সুযোগ দেওয়া হয়। এর আগে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদ পূরণে ২০২১ সালের ৩০ মার্চ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। সেখান থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2023 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.