লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্প বদলে দিয়েছে ঘরহীন মানুষের জীবন। যেখানে আগে ‘নুন আনতে পান্তা’ ফুরোনোর চিন্তায় অস্থির থাকতো ঘরহীন মানুষ, এখন তারা অনেকেই হচ্ছেন সাবলম্বী। কেউবা জীবনের গতিপথ বদলাতে করে চলেছেন নিরন্তর সংগ্রাম।
পাঁচ ছয় মাস আগেও নিজের কোনো আশ্রয় ছিল না এসব মানুষের। থাকতেন অন্যের বাড়িতে কিংবা পথে-ঘাটে। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়হীন এসব মানুষ পান এসব ঘর।
মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে জীবন বদলে যাচ্ছে তাদের। চোখে মুখে স্বপ্ন! সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় তারা। তারা জানান,’আগে অনেক কষ্টে ছিলাম। সেসব কথা মনে পড়লে আমরা কাঁন্না পেয়ে যায়। আগে থাকতাম একজনের বারান্দায়।’
জীবন যুদ্ধের এসব গল্প হচ্ছে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আট ইউনিয়নের ভোটমারী,কাকিনা, চলবলা, গোড়ল,তুষভান্ডার, মদাতী,দলগ্রাম,চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দাদের।
সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রয় পাওয়া এমন অনেক গল্প রয়েছে। যাদের নিজের কোনো জমি ছিলনা। এখন পেয়েছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকার আশ্রয়।
আগে তো মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলনা। এখন স্বপ্ন দেখছেন জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণের। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া কদবানু, রহিমা বেগম,শোনাবি জানান,’এখানে আসা পর আমি সেলাই মেশিন কিনেছি। এখানে আসার পর আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করেছি।’ সামনে এগিয়ে যাবার পথে নিরন্তর চেষ্টা।
এক সময়ের পরিত্যক্ত এই জমি সেজেছে নতুন সাজে,ভরে গেছে লাল সবুজে।
কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাহুর তাহু জানান যেসব এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ভূমিহীন রা বিভিন্ন পেশায় অবস্থান তাদের কোন থাকার ব্যবস্থা ছিল না তাদের কে আমরা চিন্তিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বসবাস করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি রেফাজ রাঙ্গা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান, ভূমিহীনদের স্থায়ীভাবে তাদের থাকার জায়গা করে দেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম যায়যায়দিন কে বলেন সরকারে নির্দেশনা মেনে নতুন ডিজাইন অনুযায়ী অসহায়দের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন,
বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে ঘর নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছি ইতিমধ্যে এই উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায় এ পর্যন্ত ৯৫০ টি ঘর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী,আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে এই আশ্রম প্রকল্পগুলোতে বিভিন্ন কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে দেওয়া ,।
এখানে যারা আছে তারা যেন তাদের আত্মকর্মসংস্থান পদ খুজে পান। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের মাথা গোজার ঠাঁই দিয়েছেন তারা যেন নিজ নিজ কর্ম দক্ষতায় স্বাবলম্বী হয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে আমাদের নিয়ে যেতে পারে সেজন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
মজিব বর্ষে কালীগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে আশ্রাণ প্রকল্পের আওতায় মোট, ৯৫০ ভূমিহীন পরিবারকে দুইশতক জমি ও ঘর করে দিয়েছে সরকার।