নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কালীগঞ্জে সরকারি জমির গাছ খেকো মোজাহারুলের বিরুদ্ধে থানায় দায়সারা জিডি করেছে সমাজসেবা দপ্তর ঠাকুরগাঁয়ের মোজাহারুল এক সময় চাকুরী করতেন সমাজসেবা দপ্তরের ইউনিয়ন কর্মী পদে। থাকেন কালীগঞ্জের গোড়ল চাকলারহাটে।
শশুরের জমিতে বাড়ি করে বসবাস করা মোজাহারুল ওই বাড়ির সামনে সমাজসেবা দপ্তরের একটি পরিত্যক্ত অফিসের জমিতে বেড়ে ওঠা জীবন্ত কাঁঠালগাছ, বাঁশঝাড়, অন্যান্য জ্যান্ত গাছ কেটে বিক্রি করে আসছিল।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম সমাজসেবা দপ্তর, ইউএনও, থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর রোববার সরেজমিনে তদন্তে যান কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অভিযোগকারী ব্যক্তি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মোজাহারুলের উপস্থিতিতে দেখা যায়, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতাধীন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমসহ গনমিলনায়তন কেন্দ্র রয়েছে। এটি সরকারি সম্পত্তি।
সেখানে অবাধে সরকারি জীবন্ত কাঠাল গাছ, বাঁশঝাড় সহ অন্যান্য গাছ কেটে আত্মসাত করেছে মোজাহারুল। তদন্তকালে কাঁঠাল গাছ ও বাঁশ কাটার কথা স্বীকারও করেন মোজাহারুল, যা জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পরও মোজাহারুলের বিরুদ্ধে মামলা না করে ১৭ নভেম্বর দায়সারা গোছের একটি জিডি করেছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক।
মোজাহারুল কতৃক কেটে ফেলা জীবন্ত কাঁঠাল গাছের বেশ কয়েকটি বড় অংশ মোজাহারুলের বাড়ি থেকে জব্দ করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
সরকরী যে কোন জীবন্ত গাছ কাটার ব্যাপারে কঠোর বিধি বিধান থাকলেও রহস্যজনক কারণে মোজাহারুলের বিরুদ্ধে মামলা করেনি সমাজসেবা দপ্তর।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ গাছ ও বাঁশ কাটার বিষয়ে মোজাহারুলের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁঠাল গাছ, বাঁশঝাড় ও অন্যান্য গাছ কেটে শুধু আত্মসাতই নয় ওই সরকারি জমির অনেকটা বেদখল করে ব্যক্তিগত রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনেকটা জমি দখল করেছে মোজাহারুল।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বললে তারাও জানান দীর্ঘদিন ধরে গনমিলনায়তনের জমিতে লাগানো গাছ, বাঁশ ও ঝাড় মোজাহারুল ইসলাম নিজের প্রয়োজনে যখন তখন কেটে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘ওই গাছ বাশ ঝাড় আমাদের দান করা জমিতে নির্মিত গণমিলনায়তনের সীমানার মধ্যে ছিল। অযথা এলাকার লোক অভিযোগ করেছেন। এখন ব্যস্ত, পরে কথা বলব।’
তবে সমাজ সেবা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক তদন্তের সময় অনেকের সামনে মোজাহারুল স্বীকার করেছেন কারো অনুমতি না নিয়ে গাছ বাঁশ কেটেছেন।
প্রতিবেশি শহিদুল ইসলাম তার লিখিত অভিযোগে গাছ কাটার পাশাপাশি সরকারি জমি দখল করে মোজাহারুল শুধুমাত্র নিজের ব্যবহারের জন্য রাস্তা বানানোর অপচেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
ওই এলাকার রবিউল ইসলাম, ইমাদ আলী, বিপুল চন্দ্র রায়, লায়েচ মিয়া, আমীর আলী সেক্রেটারী, আবুল হোসেন, শাহীন আলম সহ বেশ কয়েকজন এ ঘটনার পুলিশি তদন্ত সাপেক্ষে জীবন্ত গাছ কাটার সরকারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, ঠাকুরগাঁও এ বাড়ি মোজাহারুল চাকলারহাটের আব্দুল হাকিমের মেয়েকে বিয়ে করে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2024 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.