রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের নিখোঁজ অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব। মেধাবী মিন্টুর মৃত্যর খবরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মণ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়াইপাড়া গ্রামের শরৎ চন্দ্রের বড় ছেলে।
সোমবার বিকেলে বাড়াই পাড়া গ্রামে মিন্টু চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা ত্রিবিনি বালা ঘরে মেঝেতে বসে ছেলেকে বাবা বাবা বলে ডাকছে। আর চিৎকার করে কান্না করছে। ষাটোর্দ্ধ বাবা সরদ চন্দ বর্মন নির্বাক বাবা ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। আর ছোট ভাই অনুকুল চন্দ্র বর্মন দাদা দাদা বলে চিৎকার করে কান্না করতে আর বাড়ির আঙ্গিনায় কাঁদা মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। পরিবার ও এলাকাবাসীর কান্নায় ভারি হয়ে ওঠেছে চারিদিক।
স্থানীয় যুবক ভবেশ মহন্ত বলেন, মিন্টু দাদা অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলো। যখন এলাকায় ছিলো আমাদের অনেক ভালো বাসত। ঈদের আগে নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে মন খারাপ হয়েছে। কিন্ত আজ এমনটা দেখতে হবে কখনো ভাবিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার জামগড়া সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ণ মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকেই নিখোঁজ হন সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ।
এর পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ৭ দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে অবশেষে ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মিন্টুর ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ। আর আজ ০৯ আগস্ট সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণে লাশ উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় ৩জনকে আটক করা হয়েছে।
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2024 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.