আসাদ হোসেন রিফাত।
সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা।ভারত থেকে নেমে আসা সীমান্তের কোল ঘেষা তিস্তা ও সানিয়াজান নদী।গত কয়েকদিনের চেয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমেছে। মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। রোববার বিগদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। পানি কমায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন।
একদিনে তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর ভাঙ্গনে শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার পর তিস্তা পাড়ের মানুষের নতুন দুর্ভোগ নদী ভাঙ্গন।
তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ নানা স্থাপনা। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিযনের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা ও সানিয়াজান নদী। খরস্রোতা তিস্তার ভাঙ্গনে অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে মানববেতর জীবন যাপন করছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজানের রহিম মিয়া ও আজিনুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। রোববার রাতে তাদের বসতভিটা তিস্তা গর্ভে বিলিন হয়েছে।
স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের টিন খুলে নিয়ে রাস্তায় রেখেছেন। নতুন করে বাড়ির করার মত জায়গা না থাকায় রাস্তায় আশ্রয় হয়েছে তাদের। তিস্তার তীরে বন্যা ও ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে তিস্তা খনন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মান করতে সরকারের ঊর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্চ গ্রামের নদী ভাঙ্গনের শিকার মজিবর রহমান বলেন, এবারের সানিয়াজান নদীর ভাঙ্গনে মাথা গোঁছার ঠাঁই হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাই। বাপ দাদার ভিটে হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেলাম। কোথায় দাঁড়াবো বুঝতেছিনা।
সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান নূরল আমিন বলেন, এবারের বন্যায় ৩৮টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রমনীগঞ্চ গ্রামে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন। তিনি সেখানে গিয়ে লোকজনের খোঁজখবর নেন এবং ভাঙ্গন রোধে করণীয় সবকিছু করার আশ্বাস দেন।
তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, সোমবার থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। উন্নতি ঘটছে বন্যা পরিস্থিতির।
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2024 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.