রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট। ।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভূল্লারহাট চলতি অর্থবছরে ৬লক্ষ ৫৪ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছে জিয়াউর রহমান জিয়া। হাটটি বসে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সপ্তাহে ২ দিন। এ হাটে ক্রয় বিক্রয়ে গরু, মহিষ, ধান, পাটসহ রবি ফসলের জন্য বিখ্যাত।
হাটটিতে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে নিয়ে সরকারের নিয়ম কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইজারাদারের মনগড়া আইনে অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। বেপরোয়াভাবে উভয় পক্ষের নিকট অতিরিক্ত টোল আদায় করছে এতে ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী মহল অতিষ্ঠ। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
হাটে সরকারের বিঁধি নিষেধ উপেক্ষা করে ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়কে নিয়মবর্হিভূতভাবে খাজনার আওতায় আনা হয়েছে। অথচ দেখে মনে হয় যেন হাটটি সরকারের আওতাভুক্ত নয়।
এতে ক্রেতা বিক্রেতারা সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাটের প্রশাসনিকভাবে তদারকি ও বিভিন্ন স্থানে সরকার নির্ধারিত টোল আদায়ের তালিকা (সাইন বোর্ড) টানানোর নিয়ম থাকলেও এধরনের সাইন বোর্ড ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড না থাকায় অবাধে অনিয়ম দুর্নীতি ও লুট পাটের মহৎসবে মেতে উঠেছে হাট ইজারাদার জিয়া ।
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে খাজনার আওতায় এনে সরকারি নিয়মের অতিরিক্ত টোল আদায়ের মাধ্যমে ইজারাদার জিয়া প্রতি হাটে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাগণ। কিন্তু সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইজারাদারের মনগড়া আইনে প্রতিটি গরু বিক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা আর ক্রেতার কাছ থেকেও নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা।
ছাগল ভেড়া বিক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা এবং ক্রেতার কাছ থেকেও নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে।
আরো দেয়া হয়েছে ধান, পাট, সরিষা হাটিসহ বিভিন্ন লোকদেরকে সাব ইজারা এবং তারাও অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। এভাবে নেয়া হচ্ছে মনোহারির মতো বিভিন্ন দোকান পাট, ফুট পাতের দোকানসহ সকল প্রকার দোকানে নেয়া হচ্ছে নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত টোল।
হাট ইজারাদার সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উভয়ের নিকট অতিরিক্ত টোল আদায় করে আসলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসনসহ এনিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। ইজারাদার অতিরিক্ত টোল আদায়ে অবাধে অনিয়ম দুর্নীতি ও লুট পাটের মহৎসব কায়েম করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
ক্রেতা বিক্রেতারা বলেন, আমরা গরু মহিষ, ছাগল ভেড়া ভূল্লারহাটে বিক্রয় ও ক্রয় করতে এসে উভয় পক্ষকে খাজনা দিতে হয়। আপনারা সাংবাদিক, আপনারাই হয়তো আমাদেরকে ইজারাদারের অনিয়ম দুর্নীতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারবেন।
এ বিষয় ভূল্লারহাট ইজারাদার জিয়াউর রহমান জিয়ার নিকট অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয় জানার জন্য মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান বলেন, অবশ্যই নির্ধারিত একজনের কাছে টোল আদায় করতে হবে। অতিরিক্ত টোল আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভূল্লারহাটের ক্রেতা বিক্রেতারা অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2024 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.