যে সরকার ক্ষমতায় আসুক উন্নয়নের কথা কারা তুলে ধরেন বিশ্বের কাছে সাংবাদিক না অন্যরা??
একজন সাংবাদিক- সংবাদকর্মির জীবনযাত্রার কিছু কথা, আসলে এই পেশার মানুষ গুলো প্রকৃতপক্ষে পত্রিকার মালিক,রাষ্ট্র ও সমাজের নিকট থেকে কি পেয়েছে? একজন সাংবাদিক-সংবাদকর্মি হতে ক্যামেরা/ক্যামেরাম্যান,একটি ল্যাপটপ, একটি মটর সাইকেল,
একটি ইন্টারনেট মডেম তার পাশাপাশি এমবি, একজন সাংবাদিকের সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সারাদিন সংবাদ সংগ্রহ করেন।
কোথায় গোসল?কোথায় ভাত?কোথায় বিশ্রাম ?
সন্ধ্যার পর ল্যাপটপে নিয়ে বসে তারপর সংবাদ ভালোভাবে সম্পাদন করেন।সংবাদটি লিখেন,তারপর বাছাই করে কোথাও ভুল আছে কিনা। ভুল থাকলে সংশোধন করা। এর ফাকেঁ যদি আবার শুনা যায় একটি দূর্ঘটনা কিংবা কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছানো।
একটি সংবাদের আসল ধরন কোন একটি ঘটনা।এই ঘটনায় বিভিন্ন লোকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয়?প্রথমে বাদীর কথা, তারপর বিবাদীর কথা, তারপর এলাকাবাসির কথা. তারপর চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কথা, তারপর প্রশাসনের কথা। এই সংবাদ তৈরি করতে কতজন লোকের নিকট যেতে হয় আর কতটা কষ্ট অনুভব করতে হয়।
প্রত্যেক লোকের কাছে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলে জানতে হয় বিষয়টির সম্পর্কে।এতে কতটুকু সময়ের প্রয়োজন?এরপরে আসেন সংবাদটি পরিবেশন হয়েছে,আসছে হুমকি দামকি এরপর মামলাও হতে পারে। এখানে আমার প্রশ্ন এগুলো কি সংবাদ কর্মীরা নিজের স্বার্থের জন্য করে না মানুষের স্বার্থের জন্য ?
এরপরে আসেন মিডিয়ার অফিস থেকে বেতন, শুধু সংবাদ-কর্মীর জন্য সামন্য কিছু বেতন পেয়ে থাকে তা পকেট খরচ হিসেবে। এই বেতন দিয়ে কি পরিবার চলে?
এরমধ্যে যদি কেউ মনে করেন ঘুষ খায় আসেন ঘুষের সম্পর্কে জেনে নেই, গ্রামগঞ্জের সংবাদ টাকা তো দুরের কথা একগ্লাস পানিও পায় না।আসুন শহরের সংবাদিকতা সরকারি অফিস আদালতের দূর্নীতি ধরা পড়লো এখানে আসলো কোন ক্ষমতাসীন ব্যক্তির ফোন বা সে আমার লোক।
এরমধ্যে কেউ যদি বলেন তাহলে চলে কিভাবে?
একজন সাংবাদিকের কাছে কি প্রতিদিন দূর্নীতির তথ্য আসে? আসতে পারে প্রতিমাসে একটি আবার তা প্রচার করবে কিভাবে, তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ার আগেই কোন বড় ধরনের ব্যক্তির ফোনে আতংকিত হয়ে যায় সাংবাদিক।
তাহলে এতকষ্ট করার পর কেন সাংবাদিকেরা বেতন/ভাতা পাচ্ছেনা।
সাংবাদিকরা তো রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। একজন শ্রমিক যদি প্রতিমাসে বেতন পেতে পারেন তাহলে একজন সাংবাদিক পাবে না কেন ? পরিশেষে,কোন সংবাদ-কর্মী টাকার আশায় সাংবাদিকতা করে না, সম্মান আর মানুষের ভালোবাসার জন্য সাংবাদিকতা করেন। সত্য ঘটনা তুলে ধরা, অসহায় মানুষের কথা বলাই সাংবাদিকের দায়িত্ব। দেশে যে সরকার ক্ষমতায় আসুক উন্নয়নের কথা কারা তুলে ধরেন বিশ্বের কাছে সাংবাদিক না অন্যরা।
দেশের প্রতিটা কাজেই সাংবাদিকদের অবদান রয়েছে এবং আছে থাকবে যতদিন পৃথিবী আছে।
কিছু লোকের মুখে মাঝে মাঝে শুনতে পাই সাংবাদিকেরা চাঁদাবাজি করে।
আসলে সেই চাঁদাবাজি সম্পর্কে না বলেলই নয়।কোন ব্যক্তি অপকর্ম করলে ১হাজার টাকার উপরে কেউ দেয় না। সাংবাদিকরা তো গরিব অসহায়সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কথা তুলে ধরেন। যখনি দেখেন পাচঁ টাকা পকেটে মধ্যে ভরে দিচ্ছে তখনি বলেন সাংবাদিক চাদাঁবাজি করছে। আর যারা দূর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাদেরকে কিছু বলতে পারছেন না।
তাদেরকে বলবেন বা কিভাবে তারাতো অনেক বড় লোক তাদের সাথে যুদ্ধ করে পারবেন না। সমান চোখে দেখুন।একজন সংবাদকর্মী কতটা কষ্ট করে তা আপনি জানেন না। কখনো যদি জানতেন তাহলে এইভাবে কথা বলতেন না।রোদ্র নেই বৃষ্টি নেই, পানি নেই ২৪টি ঘন্টা গাধাঁর মতো খেটে থাকে।
কোন লোককে জীবনে দেখছেন কোমড় সমান পযর্ন্ত পানিতে নেমে অসহায় মানুষের কথা তুলে ধরতে। সবাই এসির রুমে বসে বাতাস গ্রহণ করছে আর সাংবাদিক পানিতে নেমে সংবাদ সংগ্রহ করছে।একটিবারো কি ভেবে দেখেছেন আপনারা?
রাহেবুল ইসলাম টিটুল
সম্পাদকঃ লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2025 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.