উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং তিস্তা নদীর উজানে ভারতের গজলডোবার গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশ অভিমুখে ধেয়ে আসছে পানি। আর এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, এমন পরিস্থিতিতে চতুর্থ দফায় উত্তরাঞ্চলের নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এটা আমলে নেওয়া জরুরি যে, নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও নিচু চরাঞ্চলগুলোতে ফের বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
এটা মনে রাখা দরকার, পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কতটা চরমে ওঠে সেটা অজানা নয় কারো। দেশের বিভিন্ন সময়ের বন্যা পরিস্থিতি কিংবা পান্দিবন্দি দশায় মানুষ কতটা দুর্ভোগে পড়ে সেটি বিভিন্ন সময়েই জানা।
পানিবন্দি মানুষ কেউ পাশের নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়, কেউ আবার রাস্তা বা বাঁধের উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়। কেউ ঘরে খাট চৌকি দিয়ে মাচাং বানিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। এছাড়া নানা ধরনের ফসল ডুবে যায়। শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের তীব্র সংকটও তৈরি হয়।
ফলে মনে রাখা দরকার, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোধ করার কোনো উপায় নেই, কিন্তু প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
তাই অতি জরুরি পানিবন্দি মানুষের যথাযথ উদ্যোগ নিন, এই বাংলার একটি মানুষ কে ও যেন না খেয়ে থাকতে না হয়।
রাহেবুল ইসলাম টিটুল সম্পাদক প্রকাশক। লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ। ও জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন রিপোর্টার কালীগঞ্জ লালমনিরহাট।
তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। সংবাদ টি শুধু মাত্র অনলাইন ভার্সনের জন্য প্রযোজ্য ....
Copyright © 2023 লালমনিরহাট অনলাইন নিউজ. All rights reserved.