ঢাকাFriday , 10 September 2021
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দূর্নীতিঃ
  3. আইন – আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. নির্বাচন
  9. বিনোদন
  10. মুক্ত কলাম
  11. রাজনীতি
  12. লালমনিরহাট
  13. লিড নিউজ
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘‘গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমের দেয়াল জুড়ে” মোবাইলে কিংবা সেলফি স্টিক হাতে ব্যস্ত ছবি তুলতে” রাকিবুজ্জামান আহমেদ

TITUL ISLAM
September 10, 2021 5:35 pm
Link Copied!

‘‘গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমের দেয়াল জুড়ে” মোবাইলে কিংবা সেলফি স্টিক হাতে ব্যস্ত ছবি তুলতে” রাকিবুজ্জামান আহমেদ

বিখ্যাত দৃষ্টিপাত বইয়ে যাযাবর লিখেছিলেন, ‘আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।’ এ অকাট্য উচ্চারণের যথার্থতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক শেষ করে তৃতীয় দশকে উপনীত হয়েছি আমরা। অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহারে। জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃতির ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা খুব কম মানুষই বোঝে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কল্যাণে যে কেউ প্রযুক্তির মাধ্যমে অবারিত জ্ঞানের সাগর থেকে তাদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যে প্রভাব ফেলছে তা অনস্বীকার্য। যদিও এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো আমাদের সমাজ সংস্কৃতির দেয়াল ভেঙে সব মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে তবুও এর সবকিছুর একটা মূল্য আছে। সমাজিক মাধ্যমগুলোর খারাপ প্রভাব আমাদের জীবনে বিদ্যমান।

কারণ অন্ত:করণ, বিচ্ছিন্নকরণের সংযুক্তি ও বৈশ্বিক পরিব্যাপ্তি আমাদের কৃষ্টিকে ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু করে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আামাদের পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা হরণ করছে। মানবিক, শারীরিক ও অনুভূতির সহচার্যকে ভার্চুয়াল যোগাযোগ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করছে। দেড় বছর ধরে পৃথিবী নিশ্চল হয়ে আছে, করোনা মহামারির কারণে। করোনাকালে মানুষে মানুষে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ সঙ্গত কারণে কমে গেছে। করোনা পূর্বে কি যোগাযোগ বেশি ছিল? এর আগেই মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন দুর্বল হয়েছে। করোনার আগমন এ বিচ্ছিন্নতাকে তীব্রতর করেছে। সামাজিক মাধ্যম মানুষের পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবন থেকে মূল্যবান সময়কে কেড়ে নিয়ে তাদের আসক্ত করে ফেলছে।

সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি আস্থা ও বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কিছু কিছু মানুষ করে তুলেছে অসামাজিক। বস্তুত ভার্চুয়াল যোগাযোগের সুযোগ যত বাড়ছে, মানব সম্পর্ক তত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কাছে আসার বদলে মানুষ দূরে চলে যাচ্ছে। সম্পর্কের জাল যত বিস্তৃত হচ্ছে সম্পর্কের মূল্যের বিষয়ে মানুষ ততবেশি বে খেয়াল হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম যোগাযোগ ঘটিয়ে দিচ্ছে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু যোগাযোগ ও বন্ধন এক নয়। এ মাধ্যমে যোগাযোগ তৈরি করেছে ঠিকই কিন্তু কোন বন্ধন তৈরি করতে পারছে না। বরং পারিবারিক, সামাজিক, আত্মীয় ও বন্ধুত্বের সম্পর্কে যে বন্ধন রয়েছে সেই বন্ধনে শৈথিল্য সৃষ্টি করছে। মানুষে মানুষে সম্পর্কের ভিত দুর্বল করে ফেলছে।
মানবীয় সম্পর্কের আবেগ ও অনুভূতিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে মানুষের বন্ধু সংখ্যা অসংখ্য বৃদ্ধি পেলেও প্রকৃতপক্ষে তাকে বন্ধুহীন করে ফেলছে। আমরা দিন দিন নিঃস্ব হয়ে পড়ছি। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে আমরা একা। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের অধিবাসী যেন প্রত্যেক ব্যক্তি। একঘরে থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন। এক আড্ডায় থেকেও সবাই সবার থেকে দূরে। কেউ কারো সাথে ভাব বিনিময় করছে না, মত বিনিময় করছে না এমনকি কেউ কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলছে না। তবে মনে হচ্ছে এতে কারো কোন অসুবিধাও হচ্ছে না। তারা যেন বিশ্বাস করে সুধীন্দ্রনাথ দত্তের দর্শনে ‘সহেনা সহেনা জনতার জঘন্য মিতালি’

এসব সমস্যা শুধু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, মধ্যবয়স্ক এমনকি প্রবীণদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এ আসক্তি। সামাজিকতার অনুষদ হচ্ছে ভদ্রতা, নম্রতা, শ্রদ্ধাবোধ, বিবেকবোধ, সভ্যতা, আনন্দ, বেদনা, সমবেদনার পারস্পরিক বোঝাপড়া। ব্যক্তি নয় সমষ্টি এখানে সবচেয়ে বড় বিষয়বস্তু হওয়া উচিত। সামাজিক মাধ্যমগুলোকে আমরা অপব্যবহার করে সত্যকে আমরা অস্বীকার করে চলছি। আর এভাবে পরিবার ও সমাজে জন্ম নিচ্ছে বিচ্ছিন্নতা ও অসহিষ্ণুতা। সামাজিক মাধ্যমেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে ই-মেইল, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ভাইবার জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। এদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফেইসবুক।

ফেইসবুকের কথাই ধরা যাক বিদ্বেষ, বিবাদ, রুচি বিকৃতি, হানাহানি, মারামারির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ফেইসবুক অনেকক্ষেত্রে। মতভিন্নতাকে স্বীকৃতি জানিয়ে মাও সেতুং বলেছিলেন, ‘শত ফুল ফুটতে দাও’ এ সৌন্দর্যের সহাবস্থানের সভ্য হয়ে উঠেছে সমাজ। শত ফুলের বদলে শত হুল ফুটছে ফেইসবুকের অবয়ব জুড়ে।

রুচিশীল তর্ক সেখানে বিরল। যেকোন বিষয়ের মতভিন্নতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্যবসিত হয় কদর্য গালমন্দে। সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অনেকেই শালীনতার সীমা অতিক্রম করছে। কোন ব্যক্তির চরিত্র হননের পালা শুরু হলে বিপুল উৎসাহে অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। ফেইসবুক এক অর্থে সমাজের দর্পণ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সমাজে ইতিবাচক চিন্তার চেয়ে নেতিবাচক চিন্তাকে ফেইসবুকের মাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করা হচ্ছে।
ভিত্তিহীন সংবাদ, গুজব এবং অপপ্রচারই হচ্ছে এদের মূলধন। প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।’ সংক্রামক ব্যাধির মতো হিংসা, বিভেদ, বিদ্বেষ, অপসংস্কৃতি, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোড়ামী, গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমের দেয়াল জুড়ে।

পুনর্মিলনী বা এ ধরনের অনুষ্ঠানে কারো সময় নেই নির্ভেজাল আড্ডা দেওয়ার। মোবাইলে কিংবা সেলফি স্টিক হাতে ব্যস্ত সবাই ছবি তুলতে। ভাবের আদানপ্রদান গৌণ হয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছে ছবি তোলা এবং সে ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া। একই পরিবারে বসবাস করেও প্রত্যেকে যেন আলাদা গ্রহের বাসিন্দা। ছেলে মেয়েরা যেমন ব্যস্ত ভিডিও গেমস, মোবাইল অ্যাপস বা সামাজিক নেটওয়ার্ক নিয়ে তেমনিভাবে বাবা-মাও ব্যস্ত তাদের নিজস্ব জগৎ, কাজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়ে। এই আসক্তি হয়তো দূরের বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়াচ্ছে কিন্তু শীতল করে দিচ্ছে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন ও সম্প্রীতি।

সামাজিক মাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত উত্থান এক কল্পিত জগৎ তৈরি করছে। সামাজিক মাধ্যমের যে জগৎ তৈরি হচ্ছে সেটা কৃত্রিম। এটি গ্রাস করে নিচ্ছে বাস্তব জগৎকে। ভার্চুয়ালের গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে রিয়েল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় কিন্তু সম্পর্ক বাঁচানো যায় না। এভাবে মানুষ অসামাজিক হচ্ছে। অনেকে বলে করোনা মানুষকে স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক ও অসামাজিক করেছে। কথাটি কি সত্যি? কিছু মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা, উদ্যতা, নীতি নৈতিকতা ও পথ ভ্রষ্টতার কারণে যে করোনার সৃষ্টি হয়েছে এই মতটি বললে কি ভুল হবে?

করোনা হয়তো এক সময় চলে যাবে কিন্তু এ অসামাজিকতার ব্যাধি কি চলে যাবে? স্পর্শ, আলিঙ্গনের বিকল্প স্বাদে যেভাবে অভ্যস্ত হয়েছে মানুষ সেই অভ্যাস কি ত্যাগ করতে পারবে? সত্যি করোনাই প্রমাণ করেছে মানুষের ভেতরে একটি স্বার্থপর প্রাণী বাস করে। সুযোগ পেলেই সেই প্রাণী আত্মপ্রকাশ করে। সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার এই স্বার্থপরতাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক চর্চা যে হচ্ছে না এমন নয় কিন্তু নেতিবাচক ভূমিকার কাছে সেটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

আমরা প্রযুক্তির বিপক্ষে নই, পরিবর্তনের বিপক্ষে নই। আমরা চাই প্রযুক্তির বিস্তার ঘটুক। সঠিক পরিবর্তন ঘটুক, মানুষ এগিয়ে যাক, সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি এগিয়ে যাক, দেশসহ গোটা পৃথিবী এগিয়ে যাক কিন্তু প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাবে সেটার মূল্যায়ন অত্যাবশ্যকীয়।

রবীন্দ্রনাথের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকে উদয়াদিত্য বলেছিলেন, ‘রাজার ঘরে উত্তরাধিকারীরাই জন্মায়, পুত্র জন্মায় না।’
কথাটির তাৎপর্য অসামান্য। বিত্তবান পরিবারে সন্তানের চেয়ে উত্তরাধিকারী বেশি কাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের পরিবারে প্রাচুর্যের ফলে অভিভাবকরা সন্তানের ইচ্ছাপূরণে কোন কার্পণ্য করে না। অভিভাবকের কাছে সন্তানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা হচ্ছে সময়। অধিকাংশ অভিভাবকের সময়ের অভাব। এ ঘাটতি পূরণ করার জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণ না করে সন্তানের বস্তুগত চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত তারা। সন্তানকে বেশি সময় দিলে তাদের মধ্যে মানসিক বন্ধন শক্তিশালী হয়। এর ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যায়।

প্রযুক্তি যত উৎকর্ষই অর্জন করুক না কেন যন্ত্র কখনো মানুষের বিকল্প হতে পারে না। সামাজিক মাধ্যম এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এর প্রতি আসক্তি মাদকাসক্তের চেয়ে কম বিপদজনক নয়।
রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতায় আছে, ‘প্রেমের আনন্দ থাকে শুধু স্বল্প ক্ষণ কিন্তু এর বেদনা থাকে সমস্ত জীবন।’
কীটস্ এর বিখ্যাত উক্তি ‘একটি জনপ্রিয় গানে মান্নাদের অনুভূতি ‘ক ফোটা চোখের জল ফেলেছ যে তুমি ভালোবাসবে/ পথের কাঁটায় পায়ে রক্ত না ঝরালে কি করে এখানে তুমি আসবে?’ প্রেমের চিরন্তন অনুভূতি আনন্দ ও বেদনার যৌথ্য অস্তিত্বে গঠিত। সামাজিক মাধ্যম প্রেম ও ভালোবাসার এ চিরন্তন রূপকে বদলে দিচ্ছে। সহজলভ্যতা ও স্থূল দৃষ্টিভঙ্গি সবকিছুকে লঘু করে ফেলছে। আনন্দ, বেদনা, ভালেবাসা, অভিমান, আবেগ অনুভূতি গুরুত্ব হারাচ্ছে। গভীরভাবে চিন্তা করার বা কোন কিছু গভীরভাবে তলিয়ে দেখার অবকাশ নেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এর মূলধন।

এভাবে একটি অস্থির জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে আমাদের সমাজে। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হতে পারত সামাজিকীকরণের শক্তিশালী হাতিয়ার। সেটি কিন্তু কিছু হয়নি। শুধু যোগাযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এ মাধ্যম। এরপর এর হাতে সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে। সাক্ষাত, স্পর্শ, ঘ্রাণের চেয়ে কাচের পর্দায় চোখ রেখে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি আমরা।

নতুন লীলাভূমি এ কাচের ভূখণ্ড। এ ভূখণ্ডের জাতীয় সংগীত, ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও, আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছিৃ।’
সামাজিক মাধ্যম ও আত্মকেন্দ্রিকতা এভাবে একাকার হয়ে গেছে।
পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে,স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে
ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দি, আহা হা হা, আ হা
ঘরে বসে সারা দুনিয়ার সাথে যোগাযোগ আজ হাতের মুঠোতে
ঘুঁচে গেছে দেশ কাল সীমানার গণ্ডি,আহা হা হা, আ হা।

লেখক: রাকিবুজ্জামান আহমেদ, শিক্ষক, করিম উদ্দিন সরকারি পাবলিক ডিগ্রি কলেজ, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট।

শেয়ার করুন:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।