রাহেবুল ইসলাম টিটুল লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ঈদ-উল ফিতরের দিন সকালে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক ঘড়বাড়ী। সবাই যখন পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ নিতে ছুটে গেলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ মুর্শিদ হক।
রবিরাব ( ২৫ মে) ভোর ৬টার দিকে ঝড় বৃষ্টিতে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে লন্ডভন্ড হয় কালীগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম। গাছ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘর বাড়ি। তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদুৎ সংযোগ। ঝড়ের তাণ্ডবে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলার কালীগঞ্জের শিয়ালখোওয়া, নিথক, গোড়ল, চাপারহাট এবং ভোটমারি এলাকা।
সরিজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে হঠাৎ করে আকাশে ঘন মেঘ দেখা দেওয়ার পরেই ঝড়ের তান্ডবে মুহূর্তে অর্ধশত বসতবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুৎতের খুঁটি, সবজি ক্ষেত, ধান ক্ষেত লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ঝড়ে উড়ে গেছে ঘরের টিন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে মাবনবেতর জীবন কাটাচ্ছেন । ঝড়ে শিশু শিক্ষার্থীদের বই খাতাসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ রুস্তম আলী বলেন, ঘুম থেকে উঠে ঈদের নামাজ পড়তে বের হবো সেই মুহুর্তে শুরু হল ঝড়। এতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল দুই শতাধিক ঘরবাড়ী।
চলবলা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, সকালে হঠাৎ ঝড়ের আঘাতে তার ইউনিয়নের অন্তত ৯টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের । এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন, ২৬৯ টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা করেছি এবং আজ রাতেই তাদের মাঝে ত্রান পৌঁছে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে আজ রাতেই দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, হঠাৎ ঝড়ের তাণ্ডবে জেলায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরন করা হবে।
এবং লালমনিরহাট-২ আসনের সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ (এমপি) বলেন, চলবলা ইউনিয়নে ঘূর্ণি ঝড়ের আঘাতে দুই’শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লণ্ডভণ্ড হওয়ার বিষয়টি জেনেছি, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।